কলকাতা: ৩ অগস্টের পর আজ শুক্রবার ফের আদালতে পেশ করা হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। ৩ অগস্ট আদালতের পেশের পর পার্থ, অর্পিতাকে আরও ২দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি। এদিনই শেষ হচ্ছে সেই হেফাজতের মেয়াদ।
সূত্রের খবর, এর মধ্যে পার্থ-অর্পিতাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেছেন ইডি আধিকারিকরা। তাতেও স্পষ্ট অসঙ্গতির ছাপ। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার বিপুল টাকার উত্স নিয়ে একের অপরকে রীতিমতো দোষারোপ করছেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। একদিনে পার্থ বলছেন, টাকা কার তিনি জানেন না। সেটা সময় বলে দেবে। অন্যদিকে অর্পিতার দাবি, ওই টাকায় তাঁর কোনও অধিকার ছিল না। টাকা তাহলে কার? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ইডি আধিকারিকদের মাথায়। এর মধ্যেই আজ আদালতে পেশ অপা-কে। জেল না বেল, কী অপেক্ষা করে রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও তাঁর বান্ধবীর জন্য? নজর গোটা বাংলার।
অপা-কাণ্ডে তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার পণ্ডিতিয়া রোডের একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা। চাবিওয়ালাকে দিয়ে তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তদন্তকারীরা। ওই ফ্ল্যাট থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে।
ইডির দাবি, গ্রেফতারের পরও দু’জনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। গতবারের শুনানিতে ইডি বিশেষ আদালতে নয়া তথ্যপ্রমাণ পেশ করেছে। আদালতে তাঁরা জানিয়েছেন, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ৩১টি জীবনবিমায় নমিনি হিসাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে। দু’জনের মধ্যে কতটা ‘ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক’ রয়েছে, তা বোঝাতেই বিশেষ আদালতে এই তথ্য পেশ করেন ইডি-র তদন্তকারীরা। ইডির যুক্তি, দু’জনের মধ্যে ‘ঘনিষ্ঠ’ যোগাযোগ না থাকলে এমনটা হওয়া সম্ভব নয়। তদন্তকারীদের আরও দাবি পার্থ ও অর্পিতার নামে একাধিক যৌথ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে।
পার্থ-অর্পিতারং কী পরিণতি হতে চলেছে? জেল না বেল? সেটা সময়ই বলবে।