Partha Chatterjee: বইয়ের পাতায় মন নেই, বিষণ্ণ পার্থর জন্য নেওয়া হতে পারে মনের ডাক্তারের পরামর্শ
Partha Chatterjee: যেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ইডি হানা দেয়, তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল ইডি। অর্পিতার আবাসন থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়। এরপরই পার্থ-অর্পিতা ইডির ঘরে। একাধিকবার মামলা আদালতে ওঠার পর পার্থ নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ইডি অভিযোগ তুলছে। এক বছরে কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি।
কলকাতা: নানা শারীরিক সমস্যার কথা এর আগে একাধিকবার বলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে এবার কি তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, উঠছে সে প্রশ্ন। ২০২২ সালের ২৩ জুলাই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ। পরপর দু’বছর পুজোয় তিনি জেলে। কখনও জামিনের কাতর আর্জি, কখনও অ্যাসিসট্যান্টের জন্য আবেদন। কিন্তু বাস্তব হল এই পুজোটাও তাঁকে প্রেসিডেন্সির গরাদের পিছনেই কাটাতে হবে।
শোনা যাচ্ছে, পার্থ মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। বই পড়া নেই। একা একা, চুপচাপ। কারও সঙ্গে সেভাবে খুব একটা কথাও বলছেন না। সূত্রের খবর, প্রয়োজনে মানসিক চিকিৎসকের পরামর্শও নেওয়া হতে পারে বলে চর্চা চলছে কারা দফতরে। যেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ইডি হানা দেয়, তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল ইডি। অর্পিতার আবাসন থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়। এরপরই পার্থ-অর্পিতা ইডির ঘরে। একাধিকবার মামলা আদালতে ওঠার পর পার্থ নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। বলেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ইডি অভিযোগ তুলছে। এক বছরে কিছুই প্রমাণ করতে পারেনি।
আর সরকারি চাকরিতে মন্ত্রীর কোনও হাত থাকে না বলেও দাবি করেছেন পার্থ। তিনি অসুস্থ, সেই গ্রাউন্ডে চেয়েছেন জামিনও। একবার পার্থকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “মরে গেলে আর কীসের বিচার?” তবে ইডির দাবি, পার্থ প্রভাবশালী। জামিন পেলে কয়েক কোটির দুর্নীতি মামলা প্রভাবিত হতে পারে। আপাতত জেলেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এবারের পুজোও জেলেই কাটবে।