‘বাংলাকে দেখে শিখুন’, স্বাস্থ্যের খতিয়ান তুলে মোদীর গুজরাটকে বিঁধলেন পার্থ

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Jan 11, 2021 | 12:35 AM

গুজরাটের সঙ্গে বাংলার তুলনা টেনে সোজা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানায় নিয়েছেন। একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বলেছেন, 'বাংলাকে দেখে শিখুন'

বাংলাকে দেখে শিখুন, স্বাস্থ্যের খতিয়ান তুলে মোদীর গুজরাটকে বিঁধলেন পার্থ
ফাইল ছবি

Follow Us

কলকাতা: একদিকে বিরোধীরা যখন রাজ্যে শিল্পের অভাব নিয়ে সরকারকে প্রতি মুহূর্তে বিঁধে চলেছে। আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে তখন পাল্টা ‘স্বাস্থ্য মডেল’কে হাতিয়ার করছে শাসকদল। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) রবিবার গুজরাটের সঙ্গে বাংলার তুলনা টেনে সোজা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) নিশানায় নিয়েছেন। একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বলেছেন, ‘বাংলাকে দেখে শিখুন’।

কী সেই পরিসংখ্যান? পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন নিজের টুইটারে শিশুমৃত্যুর হার সংক্রান্ত একটি তথ্যে বিবরণ তুলে ধরেছেন। যেখানে দাবি করা হয়েছে সদ্যজাত শিশু থেকে শুরু করে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর নিরিখে গুজরাটের পারফরমেন্স বাংলার থেকে অনেকটাই খারাপ। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভের ২০১৯-২০ সালে করা সমীক্ষা অনুযায়ী সেখানে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

ওই সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়, গড়ে প্রতি ১০০০ জন সদ্যজাত শিশুর মধ্যে বাংলায় ১৫.৫ জনের মৃত্যু হয়। গুজরাটে এই সংখ্যাটা ২১.৮। একই হিসেবে বয়স পাঁচ বছরের কম এমন শিশুদের ক্ষেত্রে গুজরাটে মৃত্যুর হার ৩৭.৬ জন, বাংলায় সেটা ২৫.৪। এবং শিশুমৃত্যুর নিরিখে প্রতি ১০০০ জনের মধ্যে বাংলায় ২২ জন শিশুর মৃত্যু হয়। কিন্তু গুজরাটে হয় ৩১.২ জনের। এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে পার্থ দাবি লেখেন, “মৃত্যুর হার স্পষ্টতই জানান দিচ্ছে ফ্লপ গুজরাট মডেল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবদরদী মনোভাবের ফারাকটা। নরেন্দ্র মোদীজী, এটা দেখে আপনার শেখার সময় এসে গিয়েছে।”

তৃণমূল মহাসচিবের দেওয়া এই পরিসংখ্যান নিয়েই অবশ্য বিজেপি সংশয় প্রকাশ করেছে। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে তথ্য দিয়েছেন এগুলো কোনওটাই বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারণ পশ্চিমবঙ্গ সরকার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ডেটা ফাজিং অর্থাৎ সংখ্যাতত্ত্ব লুকানো ও সংখ্যতত্ত্বর সঙ্গে হেরাফেরি করা খুব ভালভাবে করতে শিখেছে। ২০১৮-র পর রাজ্যের তরফ থেকে ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোতে কোনও তথ্য পাঠানো হয়নি। এটা নিয়ে রাজ্য সরকার কোন ব্যাখ্যা দেয়নি। এই ধরনের তথ্য নবান্নের মধ্যে বসে পার্থবাবুরা তৈরি করেন নিজেদের কম্পিউটারে। এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের প্রকৃতি অবস্থার কোনও যোগাযোগ নেই। সুতরাং এই তথ্য নির্ভরযোগ্য নয়। এর উপর মন্তব্যও করা যায় না। ওনাদের ভালো লাগলো নিজেদের পকেটে এইসব তথ্য রেখে দিতে পারেন।”

Next Article