কলকাতা: পায়ের ব্যথা এবং ফোলার সমস্যার জন্য আলিপুর আদালতের বিশেষ সিবিআই কোর্টে হাজিরা না দেওয়ার আবেদন করতে দেখা গেল প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, এদিন তাঁকে আদালতের কোর্ট লক আপে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকেই তাঁর বিচারকক্ষে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সেখানে এসেই তিনি জানান সিড়ি দিয়ে দোতলার আদালত কক্ষে আসা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। সিড়ি ভেঙে উপরে উঠতে তিনি কোনওভাবেই পারবেন না। তাই আইনজীবী মারফত আদালত কক্ষে হাজিরা না দেওয়ার আবেদন করেন তিনি। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে।
সূত্রের খবর, বিচারক কোর্ট ইন্সপেক্টরকে ভার্চুয়াল হাজিরার ব্যবস্থা করতে বলেন। কিন্তু কোর্ট ইন্সপেক্টর বলেন, কোর্ট লক আপে ইন্টারনেট সংযোগ খুব খারাপ। এ কথা শুনে বিচারক লক আপের বাইরে ভার্চুয়াল কল কানেক্ট করার নির্দেশ দেন। তারপর থেকে ভার্চুয়ালি চলে শুনানি। তবে শুরুতেই পার্থ জানিয়ে দেন তিনি কোনও জামিনের আবেদন করছেন না। তবে তাঁর অন্য এক আবেদন রয়েছে।
এরপরই জেলে ফিজিওথেরাপি করানোর আবেদন করেন পার্থ। আইনজীবী মারফত আদালতে আবেদন জানানো হয়। সেই সঙ্গে কিডনির চিকিৎসা যাতে আরও ভাল করে হয় সেই আবেদন করেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তবে জেলের চিকিৎসক দলকে দিয়েই চিকিৎসা করাতে চান পার্থ। বাইরের কোনও হাসপাতাল বা চিকিৎসক দিয়ে নয়। সূত্রের খবর, এদিন এ কথাও স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, পার্থর জামিনের বিরোধিতা করে শুরু থেকেই প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই প্রেক্ষাপটে স্বেচ্ছায় জামিনের আবেদন না করা, জেলের মধ্যে চিকিৎসার আবেদনে অন্য সমীকরণ দেখতে শুরু করেছেন অনেকে।
যখন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র থেকে শুরু করে বালু সবাই এসএসকেএম যাচ্ছেন, সেখানে পার্থ খুব সুনির্দিষ্টভাবে বিচারক কে জানিয়েছেন যে তিনি জেলেই চিকিৎসা করাতে চান। অর্থাৎ পার্থ যে প্রভাবশালী নন, সেটাই প্রমাণ করতে চান বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। যদিও ইতিমধ্যেই বিচারক জেলে পার্থর ফিজিথেরাপির নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর। পাশাপাশি কিডনিরও ট্রিটমেন্টের দিকটিও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।