Partha Chatterjee on TMC Candidate List: ‘স্ক্রুটিনি করেই নাম নির্বাচন’, প্রার্থী বিক্ষোভে মুখ খুললেন পার্থ

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Feb 09, 2022 | 12:05 PM

Municipal Elections 2022: দলের অন্দরেই অনেকেই নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়াতে চাইছেন। চাইছেন, নির্দলে জিতে এসে তৃণমূলে যোগ দেবেন তাঁরা।

Follow Us

কলকাতা: নেত্রী স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর বা তাঁর সংস্থা আইপ্যাকের সঙ্গে যে ‘সম্পর্ক’ তা দলীয় বিষয় নয় বলেই নিজেই জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, প্রার্থীতালিকা নিয়ে বেশ কিছু জটিলতা দেখা গিয়েছিল। তবে সেসব দ্রুত মিটিয়ে ফেলা হচ্ছে। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর ঘোষিত প্রার্থীতালিকাই চূড়ান্ত বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু,  দলের অন্দরেই অনেকেই নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়াতে চাইছেন। চাইছেন, নির্দলে জিতে এসে তৃণমূলে যোগ দেবেন তাঁরা। দলীয় অসন্তোষ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমও। কিন্তু, সমস্যার সমাধান হচ্ছে কই? এ বার প্রার্থী বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুললেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)।

সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ সাফ জানিয়েছেন, “এভাবে তো বলা যায় না। যাঁরা বলছেন জিতে এসে পরে তৃণমূলে যোগ দেবেন, তাঁদের বলব, আগে মনোনয়ন জমা হোক। তারপর স্ক্রুটিনি করা হবে। শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষিত হবে। আমি আশা করি দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কেউ কোনও পদক্ষেপ করবেন না।” এখানেই শেষ নয়, প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের কর্মপদ্ধতিকে কেন্দ্র করে যে বিরোধের সূত্রপাত সে প্রসঙ্গে পার্থর মন্তব্য, “আমি দলের সৈনিক। দলের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দল করি। তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।”

প্রসঙ্গত, ১০৮ টি পুরসভার প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলে বিভ্রাট তৈরি হয়। অভিযোগ ওঠে, দলের ওয়েবসাইটে যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, আর জেলায় জেলায় যে তালিকা পাঠানো হয়েছে, তাতে বিস্তর ফারাক রয়েছে। শুক্রবার বিকালে প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে।

তৃণমূলের ঘরের আগুন নেমে আসে রাস্তায়। পুরভোটে প্রার্থী তালিকা নিয়ে শাসক দলের কর্মী সমর্থকদের ক্ষোভ বিক্ষোভ জেলায় জেলায়। বিক্ষুব্ধদের কিছুতেই বাগে আনতে পারছেন না নেতারা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিক্ষোভ প্রকাশ্যে।  জায়গায় জায়গায় চলে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ। উত্তর দিনাজপুরও তার ব্যতিক্রম ছিল না। শাসক শিবিরের অন্দরের কোন্দল এভাবে প্রকাশ্যে আসায় কার্যত থতমত খেয়ে গিয়েছেন দলের দ্বিতীয় শ্রেণির নেতারা। কী পদক্ষেপ করা উচিত তার থই খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা।

প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষের মাঝেই বিক্ষুব্ধদের জন্য বড় বার্তা আগেই দিয়েছেন পার্থ। বলেছেন, “প্রার্থী তালিকা নিয়ে এবার আর কোনও ক্ষোভ থাকা উচিত নয়। এত বড় একটা দলে ভুল বোঝাবুঝি হয়।” তিনি জানিয়েছেন, কিছু সংশোধন করে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা জেলা সভাপতিদের কাছে ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। পার্থ ও সুব্রতর দেওয়া তালিকাই চূড়ান্ত তালিকা। সকলকে খুশি করা সম্ভব নয়। প্রতীক একটাই।”

এত সবের পরেও যদি অসন্তোষ থেকে যায়, তাঁদের উদ্দেশে আরও একবার স্পষ্ট বার্তা দিলেন ফিরহাদ হাকিম। স্পষ্ট জানিয়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো যা নির্দেশ দিয়েছেন তাই চূড়ান্ত। এর কোনও অন্যথা হবে না। তাঁর কথায়, “দল সতর্ক করার পরেও যারা নির্দল হয়ে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। দলের সিদ্ধান্ত খুবই কড়া হবে৷ তবে যাঁরা নির্দল হিসাবে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁরা নিজেদের ওজন বুঝে যাবেন। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি সরে গেলে কী হয়?”

মঙ্গলবার পার্থ আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, পুরভোটে কোনও প্রথম-দ্বিতীয় তালিকা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনেই তিনি ও সুব্রত বক্সি সই করে যে তালিকা পাঠিয়েছেন তাই গ্রহণযোগ্য। যাঁরা এভাবে প্রথম ও দ্বিতীয় তালিকা খুঁজে বিভেদ তৈরি করতে চাইছেন তাঁদের সতর্কও করেছেন তৃণমূল মহাসচিব। পার্থর কথায়, “আমি যা বলেছি তাই চূড়ান্ত তালিকা। তাঁরাই নমিনেশন জমা দেবেন। সিম্বলও সেভাবে পৌঁছেছে। যেখানে যা সংশোধন করার ছিল তা করে দিয়েছি। আর কোথাও কোনও বিরোধের জায়গা নেই।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

কলকাতা: নেত্রী স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর বা তাঁর সংস্থা আইপ্যাকের সঙ্গে যে ‘সম্পর্ক’ তা দলীয় বিষয় নয় বলেই নিজেই জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, প্রার্থীতালিকা নিয়ে বেশ কিছু জটিলতা দেখা গিয়েছিল। তবে সেসব দ্রুত মিটিয়ে ফেলা হচ্ছে। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর ঘোষিত প্রার্থীতালিকাই চূড়ান্ত বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু,  দলের অন্দরেই অনেকেই নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়াতে চাইছেন। চাইছেন, নির্দলে জিতে এসে তৃণমূলে যোগ দেবেন তাঁরা। দলীয় অসন্তোষ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমও। কিন্তু, সমস্যার সমাধান হচ্ছে কই? এ বার প্রার্থী বিক্ষোভ নিয়ে মুখ খুললেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)।

সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ সাফ জানিয়েছেন, “এভাবে তো বলা যায় না। যাঁরা বলছেন জিতে এসে পরে তৃণমূলে যোগ দেবেন, তাঁদের বলব, আগে মনোনয়ন জমা হোক। তারপর স্ক্রুটিনি করা হবে। শেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষিত হবে। আমি আশা করি দলের বিরুদ্ধে গিয়ে কেউ কোনও পদক্ষেপ করবেন না।” এখানেই শেষ নয়, প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের কর্মপদ্ধতিকে কেন্দ্র করে যে বিরোধের সূত্রপাত সে প্রসঙ্গে পার্থর মন্তব্য, “আমি দলের সৈনিক। দলের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দল করি। তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।”

প্রসঙ্গত, ১০৮ টি পুরসভার প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলে বিভ্রাট তৈরি হয়। অভিযোগ ওঠে, দলের ওয়েবসাইটে যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, আর জেলায় জেলায় যে তালিকা পাঠানো হয়েছে, তাতে বিস্তর ফারাক রয়েছে। শুক্রবার বিকালে প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে।

তৃণমূলের ঘরের আগুন নেমে আসে রাস্তায়। পুরভোটে প্রার্থী তালিকা নিয়ে শাসক দলের কর্মী সমর্থকদের ক্ষোভ বিক্ষোভ জেলায় জেলায়। বিক্ষুব্ধদের কিছুতেই বাগে আনতে পারছেন না নেতারা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিক্ষোভ প্রকাশ্যে।  জায়গায় জায়গায় চলে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, রাস্তা অবরোধ। উত্তর দিনাজপুরও তার ব্যতিক্রম ছিল না। শাসক শিবিরের অন্দরের কোন্দল এভাবে প্রকাশ্যে আসায় কার্যত থতমত খেয়ে গিয়েছেন দলের দ্বিতীয় শ্রেণির নেতারা। কী পদক্ষেপ করা উচিত তার থই খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা।

প্রার্থী তালিকা নিয়ে অসন্তোষের মাঝেই বিক্ষুব্ধদের জন্য বড় বার্তা আগেই দিয়েছেন পার্থ। বলেছেন, “প্রার্থী তালিকা নিয়ে এবার আর কোনও ক্ষোভ থাকা উচিত নয়। এত বড় একটা দলে ভুল বোঝাবুঝি হয়।” তিনি জানিয়েছেন, কিছু সংশোধন করে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা জেলা সভাপতিদের কাছে ইতিমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। পার্থ ও সুব্রতর দেওয়া তালিকাই চূড়ান্ত তালিকা। সকলকে খুশি করা সম্ভব নয়। প্রতীক একটাই।”

এত সবের পরেও যদি অসন্তোষ থেকে যায়, তাঁদের উদ্দেশে আরও একবার স্পষ্ট বার্তা দিলেন ফিরহাদ হাকিম। স্পষ্ট জানিয়ে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো যা নির্দেশ দিয়েছেন তাই চূড়ান্ত। এর কোনও অন্যথা হবে না। তাঁর কথায়, “দল সতর্ক করার পরেও যারা নির্দল হয়ে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে দল। দলের সিদ্ধান্ত খুবই কড়া হবে৷ তবে যাঁরা নির্দল হিসাবে দাঁড়াচ্ছেন, তাঁরা নিজেদের ওজন বুঝে যাবেন। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ছবি সরে গেলে কী হয়?”

মঙ্গলবার পার্থ আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, পুরভোটে কোনও প্রথম-দ্বিতীয় তালিকা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনেই তিনি ও সুব্রত বক্সি সই করে যে তালিকা পাঠিয়েছেন তাই গ্রহণযোগ্য। যাঁরা এভাবে প্রথম ও দ্বিতীয় তালিকা খুঁজে বিভেদ তৈরি করতে চাইছেন তাঁদের সতর্কও করেছেন তৃণমূল মহাসচিব। পার্থর কথায়, “আমি যা বলেছি তাই চূড়ান্ত তালিকা। তাঁরাই নমিনেশন জমা দেবেন। সিম্বলও সেভাবে পৌঁছেছে। যেখানে যা সংশোধন করার ছিল তা করে দিয়েছি। আর কোথাও কোনও বিরোধের জায়গা নেই।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

Next Article