Partha Chatterjee: অর্পিতাকে নিয়ে ফুকেটে বেড়াতে গিয়েছিলেন পার্থ, ইডি-র চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর তথ্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 21, 2022 | 1:20 PM

Partha Chatterjee: স্নেহময় দত্ত নামে পার্থর একটি শেল কোম্পানির ভুয়ো ডিরেক্টরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ফুকেটে বেড়াতে যাওয়ার তথ্য পায় ইডি।

Partha Chatterjee: অর্পিতাকে নিয়ে ফুকেটে বেড়াতে গিয়েছিলেন পার্থ, ইডি-র চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর তথ্য
ইডি-র চার্জশিটে বিস্ফোরক তথ্য

Follow Us

কলকাতা: অপা কাণ্ডে ইডি-র চার্জশিটে রয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। থাইল্যান্ডের ফুকেটে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। স্নেহময় দত্ত নামে পার্থর একটি শেল কোম্পানির ভুয়ো ডিরেক্টরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ফুকেটে বেড়াতে যাওয়ার তথ্য পায় ইডি।

‘ওভারসিস ট্রানজাকশন’ অর্থাৎ দেশের বাইরে তাঁর কোনও সম্পত্তি রয়েছে কিনা, তা নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তিনি নিশ্চুপ ছিলেন। সিমবয়াসিস ট্রেডার প্রাইভেট লিমিটেড নামে ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর স্নেহময় দত্তের কাছ থেকে এই তথ্য হাতে পান তদন্তকারীরা। এই শেল কোম্পানির মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হত বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন।

২০১৪-১৫ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় থাইল্যান্ডের ফুকেটে গিয়েছিলেন। থাইল্যান্ডের একটি সংস্থার এইচআর অ্যাসোসিয়েশন তাঁদের আমন্ত্রণ করেছিলেন। থাইল্যান্ডে যাওয়া ও সেখানে থাকার সমস্ত খরচা বহন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে তাঁরা একটি সম্পত্তিও কেনেন, যার অর্ধেক মালিকানা অর্পিতা।

ইডি আরও চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, অর্পিতার ডায়মন্ড সিটির বাড়িতে যখন তল্লাশি চালানো হয়েছিল, তখন উচ্চ শিক্ষা দফতরের একাধিক খাম পাওয়া গিয়েছিল, যাতে টাকা রাখা ছিল। সে বিষয়ে অর্পিতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, টাকা ওইভাবে খামে মোড়ানো অবস্থাতেই আসত। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও। তিনি এবিষয়েও নিরুত্তর ছিলেন।

মঙ্গলবারই একটি বিষয় সামনে আসে। ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করে, মা হতে চেয়েছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, আর তাতে কোনও আপত্তি ছিল না পার্থর। আদালতে জমা করা ইডির ওই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পারিবারিক বন্ধু ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি আরও উল্লেখ করেছে, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ৩১ জীবন বিমার প্রিমিয়াম দেড় কোটি টাকা। এই ৩১ বিমার মধ্যে বেশিরভাগের প্রিমিয়াম ৫০ হাজার টাকা। কয়েকটি বিমার প্রিমিয়াম ৪৫ হাজার টাকা। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মোবাইল ফোনের ফরেনসিক পরীক্ষা করিয়ে ওই তথ্য পেয়েছে ইডি। ব্যাঙ্কের থেকে যে সব নথি ইডি পেয়েছিল, সেই সব নথির সঙ্গেও বিমার প্রিমিয়ামের তথ্য মিলেছে বলে ইডির দাবি। পাশাপাশি ইডি চার্জশিটে এদিন এটাও উল্লেখ করেছে, টেট দুর্নীতিতে পার্থর পাশাপাশি সরাসরি যুক্ত মানিক ভট্টাচার্যও।

Next Article