কলকাতা: গ্রেফতারির পর কেটেছে আট দিন। এই প্রথম বার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। TV9 বাংলার ক্যামেরার সামনে তিনি বললেন ‘ষড়যন্ত্রের শিকার’ । গত শুক্রবার রাত একটা পঞ্চান্ন মিনিট। এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। গ্রেফতার করা হয় তাঁর সঙ্গী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। গত সাত দিন ধরে শোরগোল পড়েছে রাজ্যে। বহু চর্চিত একটি শব্দবন্ধ ‘অপা’। গ্রেফতারির পর থেকে একের পর এক অভিযান চালিয়েছে ইডি। কোথাও কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, তো কোথাও গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত। ডায়মন্ড সিটি, বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার ৫১ কোটিরও বেশি নগদ টাকা, ৬ কেজিরও বেশি সোনার গয়না। এমনকি উদ্ধার হয়েছে সেক্স টয়, যা নিয়ে চর্চা হয়েছে আরও বেশি।
গ্রেফতারির পর থেকে কার্যত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখ থমথমে। চারিদিকে যা ঘটছে, সেটা যেন বিশ্বাসই করতে পারছন না প্রাক্তন মন্ত্রীমশাই। দৃশ্যত তাঁর শরীরে তারই বহিঃপ্রকাশ। একটা অত্যন্ত ভাবলেশহীন চোখ, তবে মুখে ক্লান্তি। ইডি একের পর এক প্রশ্নের তোপ ছুড়ে দিয়েছে তাঁকে, সে প্রক্রিয়া এখনও জারি। তবে সূত্রের খবর, উত্তরের সংখ্যা নাকি খুব কম।
সূত্রের খবর, ইডি-র কাছে সেরকমভাবে মুখ খুলছেন না তিনি। তবে একেবারেই যে মুখ খুলছেন না, তেমনটা নয়। ভাত খেতে চাইছেন মাঝেমধ্যে। তবে ইডি আধিকারিকরা তাঁর কাছ থেকে যে উত্তর শোনার অপেক্ষা, তা এখনও জিইয়ে রেখেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি কেন মুখ খুলছেন না? অন্তত নিজের স্বপক্ষে একটিও শব্দ কেন ব্যয় করছেন না? সে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও। কুণালের কথায়, “পার্থ দা একবারও কেন বললেন না তিনি নির্দোষ?” রাজনৈতিক সচেতকদের ধারণা, পার্থর কাছ থেকে এহেন কোনও উত্তরই হয়তো শুনতে চেয়েছিলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই গ্রেফতারির পরও যেভাবে দলের নেত্রী তাঁকে সময় দিয়েছিলেন, তা থেকে পরে পিছু হটতে বাধ্য হন। সময় দেওয়ার পরও যখন পার্থ নিজের পক্ষে কিছুই বললেন না, তখন কোটি কোটির কেলেঙ্কারির চাপ সামলাতে কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটতে বাধ্য হয় তৃণমূল। পার্থকে দলের সমস্ত পদ থেকে অপসারিত করা হয়। মন্ত্রিত্ব পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয় তাঁকে।
বৃহস্পতিবার, পার্থ ইস্যুতে কড়া পদক্ষেপ করল তৃণমূল তথা রাজ্যের শাসকদল। তারও আগেও কুণাল-দেবাংশুর তীক্ষ্ণ টুইট ‘বিদ্ধ’ করেছে পার্থকে। ঠিক ২৪ ঘণ্টার ব্যবধান। হাইকোর্টের নির্দেশে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। পাশের গাড়িতেই ছিলেন অর্পিতা। এদিন ইএসআই হাসপাতালের দুটি ভিন্ন চিত্র ধরা পড়ল।
কাচ তোলা জানালার ভিতর সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়ে কাঁদতে কাঁদতে অচৈতন্য হয়ে পড়েন অর্পিতা। তাঁকে ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়। ঠিক সেই সময়েই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হুইলচেয়ারে বসিয়ে হাসপাতালের ভিতরে ঢোকানো হচ্ছিল। সেই সময়ই TV9 বাংলার প্রতিনিধি সৌরভ দত্ত প্রশ্ন করেন, ‘পার্থ দা কিছু বলবেন? আপনি কি ষড়যন্ত্রের শিকার?’ মুখের মাস্ক নামিয়ে এই প্রথম মৌনতা ভাঙলেন পার্থ। প্রত্যুত্তরে বললেন, ‘ষড়যন্ত্রের শিকার।’
ঘড়ির কাঁটায় তখন ১২.৩০ মিনিট। গত শুক্রবার রাত ১.৫৫ মিনিটের পর দু’বারই মুখ খুলেছিলেন সাংবাদিকদের সামনে। প্রথমবার বলেছিলেন ‘দিদিকে ফোনে পাইনি।’ ভুবনেশ্বরে শারীরিক পরীক্ষার পর কলকাতায় নেমে বলেছিলেন, ‘দোষ করলে শাস্তি দেবে দল, সেটা ঠিকই।’ কিন্তু একটিও শব্দ সপক্ষে নয়। এই প্রথম। অর্থাৎ সাত দিনের মাথায় পার্থ বললেন ‘ষড়যন্ত্রের শিকার’।
তবে স্রেফ এই শব্দ দুটো বলতে তাঁর সাত দিন কেন সময় লাগল? তবে কি কোনও কিছু দেখার অপেক্ষা করছিলেন তিনি? প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা তথা সচেতকদের একাংশ। একই প্রশ্ন অবশ্য তাঁর সতীর্থ কুণাল ঘোষেরও। তিনি বললেন, “পার্থ দা নির্দোষ এটা বলতে তাঁর কেন এতদিন সময় লাগল?” বিরোধীরা অবশ্য হেঁয়ালির সুরে বলছেন, ‘ষড়যন্ত্রের শিকারই বটে, তবে তা বাংলার মানুষ।’
কলকাতা: গ্রেফতারির পর কেটেছে আট দিন। এই প্রথম বার মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। TV9 বাংলার ক্যামেরার সামনে তিনি বললেন ‘ষড়যন্ত্রের শিকার’ । গত শুক্রবার রাত একটা পঞ্চান্ন মিনিট। এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। গ্রেফতার করা হয় তাঁর সঙ্গী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও। গত সাত দিন ধরে শোরগোল পড়েছে রাজ্যে। বহু চর্চিত একটি শব্দবন্ধ ‘অপা’। গ্রেফতারির পর থেকে একের পর এক অভিযান চালিয়েছে ইডি। কোথাও কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, তো কোথাও গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত। ডায়মন্ড সিটি, বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার ৫১ কোটিরও বেশি নগদ টাকা, ৬ কেজিরও বেশি সোনার গয়না। এমনকি উদ্ধার হয়েছে সেক্স টয়, যা নিয়ে চর্চা হয়েছে আরও বেশি।
গ্রেফতারির পর থেকে কার্যত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখ থমথমে। চারিদিকে যা ঘটছে, সেটা যেন বিশ্বাসই করতে পারছন না প্রাক্তন মন্ত্রীমশাই। দৃশ্যত তাঁর শরীরে তারই বহিঃপ্রকাশ। একটা অত্যন্ত ভাবলেশহীন চোখ, তবে মুখে ক্লান্তি। ইডি একের পর এক প্রশ্নের তোপ ছুড়ে দিয়েছে তাঁকে, সে প্রক্রিয়া এখনও জারি। তবে সূত্রের খবর, উত্তরের সংখ্যা নাকি খুব কম।
সূত্রের খবর, ইডি-র কাছে সেরকমভাবে মুখ খুলছেন না তিনি। তবে একেবারেই যে মুখ খুলছেন না, তেমনটা নয়। ভাত খেতে চাইছেন মাঝেমধ্যে। তবে ইডি আধিকারিকরা তাঁর কাছ থেকে যে উত্তর শোনার অপেক্ষা, তা এখনও জিইয়ে রেখেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। তিনি কেন মুখ খুলছেন না? অন্তত নিজের স্বপক্ষে একটিও শব্দ কেন ব্যয় করছেন না? সে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও। কুণালের কথায়, “পার্থ দা একবারও কেন বললেন না তিনি নির্দোষ?” রাজনৈতিক সচেতকদের ধারণা, পার্থর কাছ থেকে এহেন কোনও উত্তরই হয়তো শুনতে চেয়েছিলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই গ্রেফতারির পরও যেভাবে দলের নেত্রী তাঁকে সময় দিয়েছিলেন, তা থেকে পরে পিছু হটতে বাধ্য হন। সময় দেওয়ার পরও যখন পার্থ নিজের পক্ষে কিছুই বললেন না, তখন কোটি কোটির কেলেঙ্কারির চাপ সামলাতে কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটতে বাধ্য হয় তৃণমূল। পার্থকে দলের সমস্ত পদ থেকে অপসারিত করা হয়। মন্ত্রিত্ব পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয় তাঁকে।
বৃহস্পতিবার, পার্থ ইস্যুতে কড়া পদক্ষেপ করল তৃণমূল তথা রাজ্যের শাসকদল। তারও আগেও কুণাল-দেবাংশুর তীক্ষ্ণ টুইট ‘বিদ্ধ’ করেছে পার্থকে। ঠিক ২৪ ঘণ্টার ব্যবধান। হাইকোর্টের নির্দেশে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। পাশের গাড়িতেই ছিলেন অর্পিতা। এদিন ইএসআই হাসপাতালের দুটি ভিন্ন চিত্র ধরা পড়ল।
কাচ তোলা জানালার ভিতর সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়ে কাঁদতে কাঁদতে অচৈতন্য হয়ে পড়েন অর্পিতা। তাঁকে ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়। ঠিক সেই সময়েই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হুইলচেয়ারে বসিয়ে হাসপাতালের ভিতরে ঢোকানো হচ্ছিল। সেই সময়ই TV9 বাংলার প্রতিনিধি সৌরভ দত্ত প্রশ্ন করেন, ‘পার্থ দা কিছু বলবেন? আপনি কি ষড়যন্ত্রের শিকার?’ মুখের মাস্ক নামিয়ে এই প্রথম মৌনতা ভাঙলেন পার্থ। প্রত্যুত্তরে বললেন, ‘ষড়যন্ত্রের শিকার।’
ঘড়ির কাঁটায় তখন ১২.৩০ মিনিট। গত শুক্রবার রাত ১.৫৫ মিনিটের পর দু’বারই মুখ খুলেছিলেন সাংবাদিকদের সামনে। প্রথমবার বলেছিলেন ‘দিদিকে ফোনে পাইনি।’ ভুবনেশ্বরে শারীরিক পরীক্ষার পর কলকাতায় নেমে বলেছিলেন, ‘দোষ করলে শাস্তি দেবে দল, সেটা ঠিকই।’ কিন্তু একটিও শব্দ সপক্ষে নয়। এই প্রথম। অর্থাৎ সাত দিনের মাথায় পার্থ বললেন ‘ষড়যন্ত্রের শিকার’।
তবে স্রেফ এই শব্দ দুটো বলতে তাঁর সাত দিন কেন সময় লাগল? তবে কি কোনও কিছু দেখার অপেক্ষা করছিলেন তিনি? প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা তথা সচেতকদের একাংশ। একই প্রশ্ন অবশ্য তাঁর সতীর্থ কুণাল ঘোষেরও। তিনি বললেন, “পার্থ দা নির্দোষ এটা বলতে তাঁর কেন এতদিন সময় লাগল?” বিরোধীরা অবশ্য হেঁয়ালির সুরে বলছেন, ‘ষড়যন্ত্রের শিকারই বটে, তবে তা বাংলার মানুষ।’