RG Kar Medical: আরজি কর মেডিকেলে নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব! লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হচ্ছে
RG Kar Medical: গত চারদিন ধরে চোর ধরতে মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়েছে আরজি কর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের।
কলকাতা: আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (RG Kar Medical College Hospital) এ যেন নতুন রোগের প্রাদুর্ভাব। হাসপাতালে রোগী দেখা হবে নাকি চোর ধরা হবে, চুরির বহর দেখে এমনই প্রতিক্রিয়া কর্তৃপক্ষের। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে নষ্ট হয়ে যাওয়া যন্ত্রাংশ ওয়ার্কশপে মেরামতির পরে নতুন রূপে আবার ওয়ার্ডে ফিরে যায়। নার্সিংহস্টেল সংলগ্ন সেই ওয়ার্কশপ থেকে আনুমানিক পাঁচ লক্ষ টাকার যন্ত্রাংশ চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ। গত চারদিন অভিযান চালিয়ে চোরেদের দলকে খুঁজে চলেছেন আরজিকর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক-প্রশাসকরা। পরিস্থিতি এমনই যে চোর ধরতেই সময় নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাংশের। এ নিয়ে টালা থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।
গত চারদিন ধরে চোর ধরতে মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়েছে আরজি কর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের। হাসপাতালের সার্জিকাল বিল্ডিংয়ের পিছনে রয়েছে ওয়ার্কশপ। সেই ওয়ার্কশপে বিভিন্ন ওয়ার্ডের যন্ত্রপাতি পড়ে থাকে। মূলত ভাঙা বেড, ওটির যন্ত্রাংশ-সহ গুরুত্বপূর্ণ অথচ নষ্ট হয়ে যাওয়া সামগ্রী রাখা হয় সেখানে। মূলত এই ওয়ার্কশপে রাখা জিনিসগুলি মেরামতির জন্য রাখা হয়। ঠিকঠাক করে সেগুলি আবার পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তুলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় যথাস্থানে।
অভিযোগ, গত চারদিন ধরে এই যন্ত্রাংশ একটু একটু করে কমছে বলে অভিযোগ ওঠে। আরজি কর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এগুলি চুরি হয়ে যাচ্ছে। কে বা কারা চুরি করছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তাদের মধ্যেও। হাসপাতালের কেউ যুক্ত কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি এরকম কোনও ঘটনা ঘটে, তা হলে ব্যবস্থা যে কড়া হবে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ত্রিদীপ মুস্তাফি। ছাড়া হবে না কাউকেই।
এ প্রসঙ্গে আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ত্রিদীপ মুস্তাফি বলেন, “যদি আমাদের কেউ এই ঘটনায় যুক্ত থাকেন! আমাদের যে কোনও কর্মী যদি এই ঘটনায় যুক্ত থাকেন, আমাদের প্রশাসন, চেয়ারম্যান, প্রিন্সিপাল, এমএসভিপি খুব দৃঢ় ভাষায় বলেছেন দোষীকে সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত করা হবে কিংবা সাময়িকভাবে বসিয়ে দেওয়া হবে। অর্থাৎ যা যা কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নিতে হবে।”
আরজি কর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, গত কয়েকদিনে যে পরিমাণ যন্ত্রাংশ চুরি গিয়েছে তার আর্থিক পরিমাণ অন্তত ৫ লক্ষ টাকা। এখনও অবধি হিসাবে এই ক্ষতি ধরা পড়েছে। আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ইতিমধ্যে টালা থানায় অভিযোগও জানিয়েছেন। পুলিশ যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেয়, দাবি তাঁর। যেভাবেই হোক এই চুরি রুখতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ‘মানসিকভাবে অ্যালার্ট রয়েছি’, অভিষেক-পর্বের পর কোর্টরুমেই আবেগে ভাসলেন কল্যাণ