Compensation: ‘জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে দিদির মৃত্যু হয়নি’, বলছে রাজ্যের তালিকায় থাকা মৃতের পরিবার

Souvik Sarkar | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Sep 16, 2024 | 8:12 PM

Compensation: রাজ্য সরকার যে ২৯ জনের তালিকা প্রস্তুত করেছে, তাতে নাম রয়েছে হরিদেবপুরের মিনতি বিশ্বাসের। বছর উনষাটের মৃত মহিলার বাড়ি হরিদেবপুরের পশ্চিম পুটিয়ারি তারামণি ঘাট রোডে। তাঁর ভাই গৌতমচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, "দিদির পেসমেকার বসানো ছিল। গত ২২ অগস্ট দিদির বারবার মাথা ঘুরছিল এবং বমি হচ্ছিল। এই অবস্থায় এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে। সঙ্গে সঙ্গে ওখানে কর্তব্যরত ডাক্তাররা ইসিজি করেন। এবং স্যালাইন চালু করেন।

Compensation: জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে দিদির মৃত্যু হয়নি, বলছে রাজ্যের তালিকায় থাকা মৃতের পরিবার
আন্দোলনে জুনিয়র ডাক্তাররা (ফাইল ফোটো)

Follow Us

কলকাতা: আরজি করে ‘তিলোত্তমা’-র নৃশংস পরিণতির প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা। রাজ্য সরকার তালিকা দিয়ে জানিয়েছে, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে হাসপাতালে পরিষেবা না পেয়ে ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিজনদের ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এই অবস্থায় মৃতের তালিকায় থাকা হরিদেবপুরের এক মহিলার পরিবার বলছে, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে চিকিৎসা পরিষেবা না পেয়ে এই মৃত্যু হয়নি।

রাজ্য সরকার যে ২৯ জনের তালিকা প্রস্তুত করেছে, তাতে নাম রয়েছে হরিদেবপুরের মিনতি বিশ্বাসের। বছর উনষাটের মৃত মহিলার বাড়ি হরিদেবপুরের পশ্চিম পুটিয়ারি তারামণি ঘাট রোডে। তাঁর ভাই গৌতমচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, “দিদির পেসমেকার বসানো ছিল। গত ২২ অগস্ট দিদির বারবার মাথা ঘুরছিল এবং বমি হচ্ছিল। এই অবস্থায় এমআর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রথমে। সঙ্গে সঙ্গে ওখানে কর্তব্যরত ডাক্তাররা ইসিজি করেন। এবং স্যালাইন চালু করেন। সুপারকে খবর দিলে তিনিও আসেন।” গৌতমবাবু বলেন, “ডাক্তাররা বলেন পেসমেকার বদলাতে হবে। কিন্তু সেই পরিষেবা এমআর বাঙুর হাসপাতালে ছিল না। ডাক্তাররা তাই দিদিকে দ্রুত কোনও বড় হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে শিফট করতে বলেন।”

তারপর মিনতিদেবীর পরিবার তাঁকে এক নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে অস্থায়ী পেসমেকার বসানো হয়। পরের দিন স্থায়ী পেসমেকার বসানো হবে এমনও সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ২৩ তারিখ ওই নার্সিংহোমে মিনতিদেবীর মৃত্যু হয়। মিনতি দেবীর ভাইয়ের বক্তব্য, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে তাঁর দিদির মৃত্যু হয়েছে, এটা ভুল তথ্য।

এই খবরটিও পড়ুন

রাজ্যের তালিকায় থাকা বাঁকুড়ার এক মৃতের পরিবারও এদিন জানান, হাসপাতালে সঠিক পরিষেবা পেয়েছিলেন তাঁরা। এমনকি, তাঁদের রোগীও হাসপাতালে মারা যাননি। হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসার পর ছাড়া পেয়েছিলেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই শিবু মালাকার নামে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

Next Article