Kunal-Shatarup: ইঁদুরের নাম শতরূপ রাখলেন কুণাল, পাল্টা ‘জেলবন্দি’ খরগোশকে কুণাল বলে ডাকলেন শতরূপ

Sep 16, 2024 | 9:02 PM

Kunal-Shatarup: উল্লেখ্য, বাম ভার্সেস তৃণমূলের আকচাআকচি নতুন কোনও ঘটনা নয়। সম্প্রতি আরজি কর কাণ্ডের আবহে সেই আগুনে পড়েছে ঘি। কুণাল ঘোষের পোস্ট করা একটি অডিয়ো আর তারপরই ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্ত গ্রেফতার হতেই 'রে রে' করে নেমে পড়ছে দুই পক্ষ।

Kunal-Shatarup: ইঁদুরের নাম শতরূপ রাখলেন কুণাল, পাল্টা জেলবন্দি খরগোশকে কুণাল বলে ডাকলেন শতরূপ
কুণাল ভার্সেস শতরূপ
Image Credit source: Facebook

Follow Us

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষের রিপোর্ট

কলকাতা: সকাল থেকেই চলছে পোস্ট যুদ্ধ। একজন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। অপরজন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ। কুণাল যখন শতরূপকে ইঁদুর বলে কটাক্ষ করছেন। পাল্টা আবার শতরূপ তাঁকে জেলবন্দি খরগোশ বলতেও ছাড়ছেন না। তারপর ফের আবার ফেসবুকে পোস্ট কুণালেন। অর্থাৎ কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ, হারে-হারে সে কথা বুঝিয়ে দিলেন।

এ দিন একটি ইঁদুরছানা হাতে নিয়ে হাসিমুখে ছবি তুলে পোস্ট করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। ছবির ক্যাপশনে আবার লিখে দিলেন, ‘নাম রাখছি শতরূপ’

ঠিক কিছুক্ষণ পরই পাল্টা শতরূপও স্ক্রিনশট নেন। পোস্ট করেন। তবে বামনেতার নজর থেকে এড়ায়নি যে ছবিটি কুণাল পোস্ট করেছেন সেখানেই খাঁচায় বন্দি রয়েছে খরগোশও। শতরূপ সেই উদাহরণ টেনে লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ কুনালদা। মুক্ত ইঁদুরটির নাম শতরূপ রাখার জন্য। কৃতজ্ঞতাস্বরূপ পাশের জেলবন্দি খরগোশটির নাম রাখলাম কুণাল ঘোষ।’

তবে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন কুণাল। আবার সেই একই ছবি পোস্ট করে তৃণমূল নেতা লিখলেন, খরগোশ হোক বা ইঁদুর সবাই তাঁর হাতের তালুতে থাকে।

যদিও, শতরূপ এ দিন বলেন, “উনিও মজা করেছেন। আমিও করেছি। তবে অল ইন্ডিয়া খরগোশ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি নোটিস দেওয়া হয়েছে। লিগ্য়াল নোটিসে লেখা হয়েছে আমরা খরগোশ হিসাবে মাঝে মধ্যে ক্ষেতের গাজর চুরি করি। কুণাল ঘোষের মতো গোটা ক্ষেত চুরি  করে জেলে যাই না। অতএব তিনদিনের মধ্যে আমি যদি সকল খরগোশের কাছে ক্ষমা না চাই তাহলে অল ইন্ডিয়া খরগোশ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমার নামে আদালতে মানহানির মামলা হবে। তাই আমি অত্যন্ত চিন্তায় আছি। আর অত্যন্ত বিপদে পড়েছি।”

উল্লেখ্য, বাম ভার্সেস তৃণমূলের আকচাআকচি নতুন কোনও ঘটনা নয়। সম্প্রতি আরজি কর কাণ্ডের আবহে সেই আগুনে পড়েছে ঘি। কুণাল ঘোষের পোস্ট করা একটি অডিয়ো আর তারপরই ডিওয়াইএফআই নেতা কলতান দাশগুপ্ত গ্রেফতার হতেই ‘রে রে’ করে নেমে পড়ছে দুই পক্ষ। একদিকে যেমন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের উপর হামলার ছক কষার অভিযোগ তুলে বামেদের কাঠগড়ায় তুলতে কোনও কসুর রাখতে চাইছে না তৃণমূল। ঠিক তেমনই নিজেদের ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বামেরাও। তাঁদের সাফ দাবি, হয় এআই ব্যবহার করে ওই কথোপকথনের ভিডিয়ো বানানো হয়েছে, নতুবা পাড়ার তৃণমূল কর্মীকে অতি বাম সাজিয়ে এই নাটকের প্লট সাজানো হয়েছে। দু’পক্ষই নিজেদের সপক্ষে ব্য়স্ত যুক্তি খাড়া করতে। এই অবস্থায় পোস্ট চালাচালি বিতর্কে আলাদা মাত্রা নিয়ে এল তা বলাই যায়।

Next Article