কলকাতা: পাটুলিকাণ্ডে কড়া তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘বেয়াদপি’ বন্ধ করতে আসরে নামতে হল তাঁকে। মমতার নির্দেশে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি শোকজ করলেন দুই তৃণমূল কাউন্সিলর স্বরাজ মণ্ডল ও তারকেশ্বর চক্রবর্তীকে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, দলের সংগঠনের রাশ আরও শক্ত করতে চাইছেন সুপ্রিমো।
জানা গিয়েছে, এই শোকজের খবরের পর বৃহস্পতিবার রাত্রিবেলা বিজয়গড়ের সমাজগড়ে ডেকে পাঠানো হয় তারকেশ্বর চক্রবর্তী এবং স্বরাজ মণ্ডলকে। টলিগঞ্জ ও যাদবপুরের পরির্দশক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ডেকে পাঠান তাঁদের। এর আগে দুপুরে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজের ঘরে ডাকেন স্বরাজ মণ্ডলকে। গোটা ঘটনা জেনে দ্রুত এই দ্বন্দ্ব মেটানো নির্দেশ দেন। যদিও ফিরহাদ হাকিম তারকেশ্বর চক্রবর্তীকে ডেকে পাঠালেও তিনি সেখানে হাজির হননি।
প্রসঙ্গত, পাটুলির মেলার মাঠে এলাকার কাউন্সির স্বরাজ মণ্ডলের কার্যলয় রয়েছে। সেখানে সপ্তাহে একদিন বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার এসে বসেন। অভিযোগ, এরপর নিজের কার্যালয়ে কাউন্সিলর বসতে গেলে বিধায়ক ও ১১ নম্বর বোরো চেয়ারম্যান তারকেশ্বর চক্রবর্তীর অনুগামীরা তাঁকে বলেন চেয়ারে বসা চলবে না। এই নিয়েই শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, কাউন্সিলর স্বরাজ মণ্ডলকে মারধর করা হয়। ঘুষি মারা হয় মুখে। এ প্রসঙ্গে অভিযোগ অস্বীকার করেন তারকেশ্বর চক্রবর্তী। তাঁর আবার দাবি বেআইনি নির্মাণ থেকে টাকা তোলেন স্বরাজ। সেই বিষয়টিকে আটকানোর জন্য এই সব অভিযোগ করা হচ্ছে।
বস্তুত, সোমবার চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠকে বসার কথা মুখ্যমন্ত্রী। দলের ফলাফল নিয়ে কাটাছেঁড়া করার পর দেখা যাচ্ছে শহরাঞ্চলে ভোট কমছে তৃণমূলের। যা নিয়ে ইতিমধ্যে মুখ খুলেছেন বর্ষীয়ান নেতারা। এই ভাবনা হয়ত ভাবাচ্ছে তৃণমূলকে। ফলত, এখানে কাউন্সিলরদের ভূমিকা কী থাকছে তাও দেখা হবে।