কলকাতা: যুব নেতৃত্বকে সামনের সারিতে এনেও খুব একটা লাভ হয়নি সিপিএমের। একটি আসন পাওয়া তো দূরের কথা, ভোট শতাংশেও কোনও উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েনি। প্রশ্ন উঠেছে কী এমন ভুল হল? দফায় দফায় দলের অন্দরে চলছে পর্যালোচনা। শুক্রবার ছিল ডিওয়াইএফআই-এর পর্যালোচনা বৈঠক। সেখানেই হারের কারণ নিয়ে আলোচনা হয়। সিনিয়র কৃষক বা শ্রমিক নেতৃত্বের লড়াই কোথায়? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নেতৃত্ব পোক্ত হলে ভরাডুবি এভাবে হত না বলে মনে করছেন একাংশ। প্রশ্ন উঠেছে আরএসএসের ভূমিকা নিয়েও।
সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের বৈঠকে কার্যত আক্ষেপ করে একাংশ। তবে শুধু কৃষক বা শ্রমিক সংগঠনের আন্দোলনের ব্যর্থতা নয়, আরএসএসের কাজকর্ম বুঝতে না পারাও ভরাডুবির অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন কেউ কেউ। তাঁরা বলছেন, একেবারে গ্রাউন্ড জিরোয় থেকে কাজ করছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা আর এস এস। আরএসএস বা আরএএস মনোভাবাপন্ন ব্যক্তিরা যেভাবে কাজ করেছেন, তা অনুধাবন করা যায়নি বলেও মনে করছেন তাঁরা।
এই আবহে বঙ্গে সিপিএমের কৃষক ও শ্রমিক নেতৃত্বের আন্দোলন পরিচালনা কেমন হবে, কীভাবে হবে, তা বোঝাতে এবার কেন্দ্রীয় নেতারা নজরদারি করবেন বলে সূত্রের খবর। প্রয়োজনে হাতে-কলমে বোঝাবেন কীভাবে আন্দোলন গড়ে তুলতে হয়।
ইতিমধ্যে সিপিএম সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জুলাই-অগস্ট জুড়ে লোকসভা ভোটের বিপর্যয় নিয়ে কাজ করবেন কর্মী, সমর্থকরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মতামত নেওয়া হবে, সেই দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে কর্মীদের। ২৩, ২৪ এবং ২৫ অগস্ট কল্যাণীতে সিপিএমের বর্ধিত অধিবেশন রয়েছে, সেখানেও এ ব্যাপারে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।