Physical Assault: নাকতলায় স্কুলের ভিতর ঢুকে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ
Physical Assault: নাকতলার ওই সরকারি স্কুলের মধ্যেই শম্পা দাস নামে এক শিক্ষিকা বেসরকারি স্কুল চালাতেন। সেটা প্রাইভেট ইংরাজি মাধ্যম স্কুল। গত ১৩ অগাস্টের ঘটনা। জানা যাচ্ছে, ওই দিন ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে এক ব্যক্তি বই দিতে এসেছিলেন।

কলকাতা: নাকতলায় সরকারি স্কুলে খুদে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। পকসো ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে বহিরাগতর বিরুদ্ধে।
জানা যাচ্ছে, নাকতলার ওই সরকারি স্কুলের মধ্যেই শম্পা দাস নামে এক শিক্ষিকা বেসরকারি স্কুল চালাতেন। সেটা প্রাইভেট ইংরাজি মাধ্যম স্কুল। গত ১৩ অগাস্টের ঘটনা। জানা যাচ্ছে, ওই দিন ইংরাজি মাধ্যম স্কুলে এক ব্যক্তি বই দিতে এসেছিলেন। সেদিন স্কুলে গিয়েছিল ওই ছাত্রী। অভিযোগ, ক্লাসরুমে ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানি করেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু স্কুলের বাইরে জড়ো হওয়া অভিভাবকরা অভিযুক্তকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তাঁকে মারধর করা হয়।
নেতাজিনগর থানায় স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবকরা। পরে পুলিশের বিশাল বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু অভিযুক্তকে ধরা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্কুলেরই শিক্ষিকা ওই ব্যক্তিকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এই স্কুলে সাধারণত কোনও ছেলে ঢোকেন না। শুনেছি, ওই লোকটা বাচ্চাটার জামাকাপড় ছিঁড়ে দেন। স্কুলের এক মহিলা কর্মী দেখতে পেয়ে, অভিযুক্তকে মারধর করেন। আরেক শিক্ষিকা এসে অভিযুক্তকে বলেন, তুই এখান থেকে তাড়াতাড়ি চলে যা্।” প্রশ্ন উঠছে, কেন স্কুলের তরফ থেকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হল না? কেন অভিযুক্তকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করল?
অভিযোগ উঠছে, শিক্ষিকা শম্পা দাসের বিরুদ্ধে। TV9 বাংলার তরফে প্রথমে শম্পা দাসের মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়। তখন জানান, তিনি অসুস্থ, এখনই কথা বলতে পারছেন না। তাঁর বাড়িতে গেলে পরিচারিকা জানান, তিনি সপরিবারে পুরীতে ঘুরতে গিয়েছেন। এরপর যোগাযোগ করা হয় শম্পা দাসের স্বামীর সঙ্গে। তিনিও জানান পুরীতে গিয়েছেন। শম্পা দাস ফোনে স্পষ্টভাবে কোনও উত্তরই দিচ্ছেন না। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত সেদিন স্কুলে শম্পা দাসের সঙ্গেই দেখা করতে এসেছিলেন।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার বলেন, “আরজি কর, কসবা ল’কলেজের পর থেকে একই ধরনের ঘটনা আমরা বারবার দেখে চলেছি। এখানে একটা শিশু, স্কুলের মধ্যে শ্লীলতাহানির মুখে পড়ল। কী প্রচণ্ড মানসিক চাপ, ভয়, আতঙ্ক! এটা দূর করার বদলে শিক্ষিকা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন! বিস্ময়।”

