কলকাতা: সীমান্ত এলাকায় গরু পাচারের (cattle smuggling case) রমরমা বারারেই বড় ইস্যু হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক ময়দানে। কেন্দ্রের অভিযোগ রাজ্য সরকারের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর মদতেই রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে আগের থেকে অনেকটাই বেড়েছে গরুপাচারের ঘটনা। অন্যদিকে রাজ্যের অভিযোগ এই সমস্ত এলাকায় নজরদারিতে থাকে কেন্দ্রের সেনা, তারপরেও কেন রোখা যাচ্ছে না পাচারের ঘটনা? এই প্রশ্ন তুলেই এবার কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়ে গেল জনস্বার্থ মামলা। যা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চাপানউতর।
গরু পাচার নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। নাম রয়েছে একেবারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেরও। মামলাকারী রমাপ্রসাদ সরকারের অভিযোগ, “রাজ্যের সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে রমরমিয়ে চলছে গরু পাচার। সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কোথাও সিআইএসএফ , কোথাও বিএসএফ। কিন্তু তাদের নজরদারি এড়িয়ে কিভাবে চলছে?” চলতি সপ্তাহে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এ নিয়ে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানি হয়েছে।
মামলাকারী রমাপ্রসাদ সরকারের দাবি, বিএসএফ-সিআইএসএফের দায়িত্বে রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যাঁর মাথায় বসে রয়েছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু, তিনি থাকতেও কী করছে বিএসএফ-সিআইএসএফ? পাচার রুখতে কেন দিচ্ছেন না স্পষ্ট নির্দেশ? সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানি হতে পারে। যদিও মামলা প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানান, “বিচারাধীন বিষয়ে মন্তব্য করবো না। যিনি মামলা করেছেন। তিনি উত্তর দেবেন। আমাদের পার্টি তো আর এই মামলা করেনি । ফলে এ নিয়ে কিছু বলার নেই”। কিন্তু, এ মামলায় একেবারে সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নাম জড়িয়ে যাওয়াতেই তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। তবে, হাইকোর্টে এ মামলা উঠলে বিচারপতিরা কী রায় দেন সেদিকেও নজর রয়েছে সকলের।