Suvendu Adhikari: সারদায় শুভেন্দুর ভূমিকা কী ছিল? CBI-কে পদক্ষেপের নির্দেশ দিক আদালত, দায়ের জনস্বার্থ মামলা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jul 13, 2022 | 4:09 PM

Saradha Scam: কয়েকদিন আগে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে। তিনি দাবি করেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী তাঁর কাছ থেকে একাধিকবার টাকা নিয়েছেন, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতেন।

Suvendu Adhikari: সারদায় শুভেন্দুর ভূমিকা কী ছিল? CBI-কে পদক্ষেপের নির্দেশ দিক আদালত, দায়ের জনস্বার্থ মামলা
আদালতে দায়ের জনস্বার্থ মামলা

Follow Us

কলকাতা : সারদা মামলায় এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভূমিকা খতিয়ে দেখে অবিলম্বে পদক্ষেপ করুক সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে এই নির্দেশ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মামলা করা হল কলকাতা হাইকোর্টে। বুধবার হাইকোর্টে এই জনস্বার্থ মামলাটি করেন আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। আগামী সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির সম্ভবনা রয়েছে। সারদা আর্থিক কেলেঙ্কারিতে রাজ্যের বহু মানুষ সর্বস্বান্ত হয়েছেন। কয়েকদিন আগে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে। তিনি দাবি করেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী তাঁর কাছ থেকে একাধিকবার টাকা নিয়েছেন, তাঁকে ব্ল্যাকমেল করতেন। উল্লেখ্য, যে সময়ের কথা সুদীপ্ত সেন বলছিলেন, সেই সময় শুভেন্দু অবশ্য তৃণমূলে ছিলেন।

কিছুদিন আগে বিধাননগরে এমপি-এমএলএ আদালতের বাইরে সুদীপ্ত সেন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে দাবি করেছিলেন, দ্বিতীয় চিঠিতে শুভেন্দুর নামে বলেছেন তিনি। শুভেন্দু তাঁর কাছ থেকে একাধিকবার টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন সারদা কর্ণধার। চিঠিতে সেই সব তথ্যের কথা উল্লেখ করা রয়েছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, এর আগে সারদা মামলায় কুণাল ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বর্তমানে অবশ্য তিনি তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক। এদিকে আবার তৃণমূল শিবির থেকে একাধিকবার বিভিন্ন সময়ে বলতে শোনা গিয়েছে, ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচতেই নাকি শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে গিয়েছেন।

এমনকী সুদীপ্ত সেনের ওই বিস্ফোরক দাবির পর কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, শুভেন্দুকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। বলেছিলেন, “শুভেন্দু অধিকারী ধাপে ধাপে কত টাকা নিয়েছেন তা তো সুদীপ্ত সেন বলছেন। তাই সিবিআইয়ের অবিলম্বে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা উচিৎ। সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা উচিৎ। কোর্টে সুদীপ্ত সেন যে বয়ান দিয়েছেন, তাতে তিনি বলছেন ৫০ লক্ষ টাকা ড্রাফটের মাধ্যমে কাঁথি পুরসভা দিতে হয়েছে। বাকি নগদে। যাঁরা বলছেন এসব সবই মিথ্যা অভিযোগ। সেখানে আমার বলার ব্যাঙ্ক ড্রাফট তো আর মিথ্যা হয়ে যাচ্ছে না। ব্যাঙ্ক ড্রাফট কী করে কাল্পনিক হবে। এটা তো তদন্তের মধ্যে পড়বে।”

 

Next Article