কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজভবনে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, রাজ্যের একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার রাজভবনে গিয়েই আগে আজ প্রায় আধ ঘণ্টা রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এরপরেই প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠক কার্যত নির্ধারিত সময় ৫ টা ৪৫ মিনিটের বদলে ৬ টা থেকে শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী -রাজ্যপালও বৈঠক করেন । বৈঠক চলে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে। সন্দেশখালি ইস্যুতে তপ্ত রয়েছে বাংলা।
বঙ্গে এসে প্রধানমন্ত্রীও তোপ দেগেছেন এই বিষয়টি নিয়ে। যদিও মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর বেরিয়ে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘রাজনীতির কথা আলোচনা হয়েছে কম, গপ্পো হয়েছে বেশি।’ তবে সূত্রের খবর, সন্দেশখালি ইস্যুতেই রাজ্যপালের সঙ্গে কথা হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সন্দেশখালি গিয়ে নিজে ঘুরে এসেছেন রাজ্যপাল। কথা বলেছেন নির্যাতিতাদের সঙ্গে। সেই সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য তিনি প্রধানমন্ত্রীকে সাক্ষাতে দেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের আগে সন্দেশখালি নিঃসন্দেহেই একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
এদিকে, শনিবারও প্রধানমন্ত্রীর জোড়া কর্মসূচি রয়েছে কৃষ্ণনগরে। শনিবার সকালে রাজভবন থেকে আরসিটিসি হেলিপ্যাডে যাবেন মোদী। সেখান থেকেই তিনি হেলিকপ্টারে যাবেন কৃষ্ণনগর। একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাসের পাশাপাশি সরকারি পরিষেবাও বিতরণ করবেন। সেখান থেকেই সড়ক পথে যাবেন কৃষ্ণনগরের জনসভায়। রাজনৈতিক সমাবেশ শেষ করে মোদীর হেলিকপ্টার যাবে পানাগড়। সেখান থেকে বিমানে প্রধানমন্ত্রী যাবেন বিহারের গয়ায়। আবার প্রধানমন্ত্রী বাংলায় আসবেন ৬ মার্চ। ওই দিন সভা হবে বারাসতে।