কলকাতা: কলকাতা পুলিশ কমিশনার হওয়ার পর তৃতীয়বার মনোজ ভার্মা আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এলেন। হাসপাতালে ঢুকে প্রথমে তিনি চলে যান জরুরি বিভাগে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সেমিনার কক্ষেও গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মী এবং সিআইএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর বাইরে নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন। যে ঘরগুলিতে গত ১৪ আগস্ট ভাঙচুর করা হয় সেখানকার অবস্থাও খতিয়ে দেখেন।
সূত্রের খবর, কিছু সময় সেখানে কাটিয়ে সোজা চলে যান একতলায়। তারপর দোতলাতেও যান। হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট তিনি জরুরী বিভাগে কাটান। তবে এর আগে তিনি দু’বার এলেও এই প্রথমবার তিনি এতটা সময় ধরে হাসপাতালে ঘুরলেন। আগেরবার এসে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। অন্যান্য কিছু বিষয় দেখেছিলেন। এবার একেবারে সরজমিনে ঘুরে দেখার মুডে দেখা গেল তাঁকে।
কোথায় কতক্ষণ ছিলেন সিপি?
জরুরী বিভাগ এবং ওই উন বাড়ির বিভিন্ন অংশ (১৫-১৭ মিনিট)
প্রসূতি বিভাগ (৯ মিনিট)
প্রস্তুতি বিভাগের পাশের গলি (২ মিনিট)
রাত্রি যাপন ভবন (৫ মিনিট)
জুবিলি ভবনের সামনে (৫ মিনিট)
অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং (৫ মিনিট)
স্টোর বিল্ডিং এর সামনে সিআইএসএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট এর সঙ্গে বৈঠক (৬ মিনিট)
গ্রুপ ডি কর্মীদের আবাসনের আশপাশ খতিয়ে দেখা (১৫ মিনিট)
৬ নম্বর গেট সংলগ্ন পার্কিং অংশ খতিয়ে দেখা (৫ মিনিট)
৬ নম্বর গেটের বাইরে যাওয়া এবং সেখানকার বিভিন্ন অংশ খতিয়ে দেখা (৫-৭ মিনিট)
হাসপাতালে স্টোর বিল্ডিং এর ভিতর প্রবেশ করা (৯ মিনিট)
৪:৪৮ মিনিট স্টোর বিল্ডিংয়ের সামনে পুলিশ কমিশনারের গাড়ি এনে রাখা হয়।
৪:৫৬ মিনিটে তিনি বেরিয়ে গেলেন।
প্রসঙ্গত, আরজি করের কেস নিয়ে এখনও উত্তাল গোটা রাজ্য। প্রতিবাদ চলছে দিকে দিকে। দুর্গাপুজোর আবহেও ভাটা পড়েনি প্রতিবাদে। এদিকে শুরু থেকেই আরজি কর মামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠেছে গুচ্ছ গুচ্ছ প্রশ্ন। কলকাতা পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার চলে যায় সিবিআইয়ের হাতে। শেষে তো এবার এই কেসে সন্দীপ ঘোষের পাশাপাশি টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তা নিয়ে চাপানউতোর চলছেই।