AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Dharmatala Traffic: চাবি নিয়ে উধাও পুলিশ! সিগনালের মাঝে দাঁড়িয়ে গাড়ি, ষষ্ঠীর বিকেলে গোটা ধর্মতলা চত্বর অবরুদ্ধ

Dharmatala: ষষ্ঠীর বিকেল। ভিড় বাড়তে শুরু করেছে মণ্ডপে। কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়ি ফিরছেন কেউ কেউ। তারই মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে গেল গোটা ধর্মতলা চত্বর। আটকে রইল অ্যাম্বুল্যান্স। অভিযোগ, ইচ্ছাকৃত জ্যাম তৈরি করে রাস্তা অবরুদ্ধ করে রাখা হচ্ছে।

Dharmatala Traffic: চাবি নিয়ে উধাও পুলিশ! সিগনালের মাঝে দাঁড়িয়ে গাড়ি, ষষ্ঠীর বিকেলে গোটা ধর্মতলা চত্বর অবরুদ্ধ
অবরুদ্ধ ধর্মতলাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Oct 09, 2024 | 5:24 PM
Share

কলকাতা: পাশাপাশি দাঁড়িয়ে তিনটি গাড়ি। দুটি বাস ও একটি তেলের ট্যাঙ্কার। বুধবার অর্থাৎ ষষ্ঠীর বিকেলে এমনই ছবি দেখা গেল সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে। গাড়িগুড়ি এভাবে দাঁড়িয়ে থাকায় একে একে আটকে যায় সব গাড়ি। শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা কার্যত পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন পথচলতি মানুষ। কিন্তু কেন এমন অবস্থা? এক বাসের চালককে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেন, পুলিশ চাবি নিয়ে চলে গিয়েছে। চাঁদনি চকের দিক থেকে যখন ডাক্তারদের প্রতিবাদ পরিক্রমার গাড়ি এগোচ্ছে অনশন মঞ্চের দিকে, তখনই দেখা গেল এই ছবি।

চালকদের অভিযোগ, সার্জেনরা গাড়িগুলি ডেকে এনে রাস্তার মাঝে দাঁড় করিয়ে চাবি নিয়ে নেন। তেলের ট্যাঙ্কারের চালক বলেন, “চাবি পাচ্ছি না। মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। সিগনাল খোলা ছিল। তাই এসেছি। পুলিশ গাড়ি দাঁড়ি করিয়ে বলল চাবি দে। আমরা কোনও অন্যায় করিনি। পুলিশকে জিজ্ঞেস করলে বলে, দিতে বলছি দে। যখন বলব তখন গাড়ি ছাড়বি।”

এর ফলে একের পর এক গাড়ি আটকে পড়েছে। যাঁরা কর্মক্ষেত্র থেকে বাড়ি ফিরছিলেন, তাঁরা রীতিমতো হয়রানির শিকার। একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স আটকে পড়ে বলে অভিযোগ। পরে মানব বন্ধন করে সেই অ্যাম্বুল্যান্সগুলি বের করার ব্যবস্থা করা হয়। কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, এদিন পরিক্রমা ম্যাটাডোর করার কথা আন্দোলনরত চিকিৎসকদের। চেতলা অগ্রণী, সুরুচি সঙ্ঘের মতো পুজো মণ্ডপে যাওয়ার কথা আন্দোলনকারীদের। সেই পরিক্রমা জন্য ম্যাটাডোর যখন অনশন মঞ্চের দিকে যাচ্ছিল, তখন সেগুলিকে আটকে দেওয়া হয় বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। এরপর সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানাতে ভিড় করে। তাঁরাই ঠেলে বের করেন ম্যাটাডোর। কিন্তু তারপরই অবরুদ্ধ হয়ে যায় ধর্মতলা। আদতে পরিক্রমা আটকাতেই কি এই ব্যবস্থা? এমনই প্রশ্ন করছেন চিকিৎসকেরা।