কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গত বুধবার হঠাৎ করেই আগমন হয়েছিল সেনার মতো পোশাকধারী কিছু যুবক-যুবতীর। প্রায় ২০-২৫ জন যুবক-যুবতী অরবিন্দ ভবনের সামনে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কেন হঠাৎ এদের আগমন? খোঁজখবর করতেই জানা যায়, তাঁরা এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত এবং ওই জলপাই পোশাকই নাকি তাঁদের ইউনিফর্ম। কী কারণে সেনার মতো পোশাক পরে তাঁরা ঘোরাঘুরি করছিল যাদবপুরের ক্যাম্পাসে, তা ইতিমধ্যেই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মকর্তা কাজি সাদেক হুসেন।
ঘটনার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ইতিমধ্যেই নোটিস পাঠিয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, কাজি সাদেক হুসেন নামে ওই ব্যক্তির মোবাইল সুচইড অফ রয়েছে। তিনি নিজেকে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি নামে এক সংস্থার জেনারেল সেক্রেটারি বলে দাবি করেন। গতরাতেই তাঁর বাড়িতে গিয়ে নোটিস ধরিয়েছে পুলিশ। নোটিস গ্রহণ করেছেন সাদেকের স্ত্রী। এদিকে গতসন্ধেতেই ওই ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের তরফে যাদবপুর থানায় রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।
জানা যাচ্ছে কাজি সাদেক হুসেন নামে ওই ব্যক্তির বাড়ি কলকাতার গার্ডেন রিচে। সেখানে আয়রন গেট এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি। শনিবার তাঁর বাড়ির চত্বরে পৌঁছে গিয়েছিলেন টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি। কিন্তু পরিবারের লোকেরা কেউই ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি। এদিকে যাদবপুরকাণ্ডে এই খবর জানাজানি হওয়ার পর একপ্রকার স্তম্ভিত এলাকাবাসীরা। এলাকাবাসীরা বলছেন, গত ৫-৬ বছর ধরে এই এলাকায় থাকছেন সাদেক। প্রতিবেশীদের কারও সঙ্গে বেশি কথাবার্তা বলেন না। নিজেকে কখনও পরিচয় দিতেন প্রাক্তন বিচারক হিসেবে। আবার কখনও পরিচয় দিতেন মানবাধিকার কমিশনের পদাধিকারী হিসেবে।
সেনার পোশাক গায়ে যাদবপুরের যুবক-যুবতীদের ঢুকে যাওয়ার ঘটনায় যে এই ব্যক্তির নাম জড়িত, তা শুনে কার্যত অবাক হয়ে যাচ্ছেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। তবে এলাকায় বেশ শিক্ষিত মানুষ হিসেবেই পরিচিত তিনি। এলাকাবাসীদের বলতেন, তিনি বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবামূলক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। তবে এলাকায় কোনওদিন কোনও সমাজসেবা করতে দেখা যায়নি তাঁকে।