কলকাতা : রাত ৮ টা বাজতে আর খুব বেশি দেরি নেই। তা আগেই প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে হাজির হল পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে মানিককে সিবিআই অফিসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই তাঁর যাদবপুরের বাড়িতে পুলিশ আধিকারিকদের প্রবেশ করতে দেখা যায়। মিনিট দশেক সেখানে ছিলেন তাঁরা। সূত্রের খবর, ওই বাড়ির কেয়ারটেকারের সঙ্গে কথা বলে চলে যান পুলিশ আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার রাত ৮ টা পর্যন্ত মানিককে হাজিরার জন্য সময় দিয়েছে আদালত। মূলত ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে সিবিআই-এর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিককে মানিকের হাজিরার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। সেই কারণেই সম্ভবত মানিকের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। যদিও ওই বাড়িতে মানিক নেই বলেই সূত্রের খবর। পরে প্রোটোকল মেনে পুলিশ যাদবপুর থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি করেছে।
এর আগে একাধিকবার ইডি ও সিবিআই-এর নোটিস দেওয়া হয়েছে মানিককে। বেশ কয়েকবার হাজিরাও দিয়েছেন তিনি। তবে সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে ইডি-র পেশ করা চার্জশিটে মানিকের নাম থাকায়, অভিযোগ আরও স্পষ্ট নয়। ইডি দাবি করেছে, করোনাকালে বিভিন্ন কলেজ থেকে পড়ুয়া পিছু ৫০০ টাকা করে নিতেন মানিক। শুধু তাই নয়, মানিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল, সে কথা নাকি জানতেন খোদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এই চার্জশিট পেশ হওয়ার পরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মানিক। তবে মঙ্গলবার কিছুটা স্বস্তি তিনি পেয়েছেন শীর্ষ আদালতের তরফে। বুধবার পর্যন্ত মানিকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তাই মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে, সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতেই হবে তাঁকে। প্রাথমিক টেটের ওএমআর শিট কেন নষ্ট করা হল, তা নিয়েই তদন্ত করবে সিবিআই। আর ঘটনার সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য।