কলকাতা: বিরোধী ঐক্যে শান দিতে মুম্বইয়ে বৈঠকে বসছে টিম ইন্ডিয়া। বৃহস্পতি-শুক্র দু’দিন ধরে বৈঠক। আর তার ঠিক আগেই বুধবার ভোরে রাজধানীতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধীর একান্ত বৈঠক হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আর এই নিয়েই জোর গুঞ্জন ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। বিরোধী জোটের বৈঠকের ঠিক আগের দিনই রাহুল-অভিষেকের এই সাক্ষাতে কী নিয়ে আলোচনা হল, তা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে আসতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে ‘দিল্লিতে দোস্তি, বাংলায় কুস্তির’ তত্ত্বে খোঁচাও দিতে শুরু করেছে বিজেপি।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যেমন খোঁচা দিয়ে বললেন, ‘কাকভোরে যাওয়ার তো দরকার ছিল না। চুপিচুপি করতে গিয়ে, সব জানাজানি হয়ে গেল। পশ্চিমবঙ্গে যে কংগ্রেস রয়েছে, তারা এখন কী করবে?’ প্রসঙ্গত সামনেই ধূপগুড়ির উপনির্বাচন রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী সেখানে রয়েছেন দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে। আর এদিকে বাম-কংগ্রেস আবার আগামিকাল ধূপগুড়িতে প্রচারে যাচ্ছে। সেই নিয়েও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। বলছেন, ‘আগামিকাল মহম্মদ সেলিমের সঙ্গে কংগ্রেস ধূপগুড়িতে আসছে ভোট কাটার জন্য। এটা নিয়ে তাদের প্রশ্ন করুন। যদি দিল্লিতে মিটিং হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে তো সরাসরি তৃণমূলকেই সমর্থন করা হচ্ছে।’
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী অবশ্য বাংলায় দলের অবস্থান এদিনও স্পষ্ট করে দিয়েছেন। বলছেন, ‘সর্বভারতীয় কংগ্রেস দলের নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর সঙ্গে পৃথিবীর যে কোনও মানুষ দেখা করতে পারেন। ভারতের রাজনীতিতে কেউ কারও সঙ্গে কথা বলতেই পারেন। আমাদের কাছে তো কোনও নির্দেশ নেই যে বাংলায় সব মিটমাট হয়ে গিয়েছে। বাংলায় আমরা লাঞ্ছিত, অত্যাচারিত, বঞ্চিত। প্রতিদিন সন্ত্রাসের শিকার। বাংলায় আমাদের এজেন্ডা অনেকবার বলে দিয়েছে।’
যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কুণাল বলেন, ‘আমি তো বৈঠক নিয়ে একটি কথাও বলছি না। একটি শব্দও বলছি না। যে বিষয়টি নিয়ে জানি না, সেই বিষয় নিয়ে বলব কেন?’