কলকাতা: প্রয়াত ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী শর্মিষ্ঠা চৌধুরী (৪৫)। করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন লড়াকু শর্মিষ্ঠা (Sharmishtha Chowdhury)। করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে জিতলেও কোভিড পরবর্তী বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তাঁর। পিজি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। রবিবার দুপুর ২.৩০ নাগাদ সেখানেই প্রয়াত হন তিনি।
পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনের সময় বার বার শর্মিষ্ঠার নাম শিরোনামে উঠে এলেও তাঁর প্রথম পরিচয় সিপিআই (এমএল) রেড স্টারের লড়াকু নেত্রী। প্রেসিডেন্সিতে দর্শন নিয়ে স্নাতক। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা নিয়ে স্নাতকোত্তর। ইংরাজি দৈনিক ‘দ্য টেলিগ্রাফ’-এ চাকরিও করেছেন তিনি। কিন্তু মনে যাঁর গণ আন্দোলনের ডাক, তাঁকে কি চাকরি দিয়ে বাধা যায়? ২০০২ সালে সিদ্ধান্ত নিলেন, চাকরি ছেড়ে সংগঠনটাই পুরোদমে করবেন।
২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড সাব-স্টেশন নির্মাণ ঘিরে আগুন জ্বলেছিল। পোলেরহাট, মাছিভাঙায় বারুদের গন্ধ। সে সময় সিপিআই (এমএল) রেড স্টারের নেতা অলীক চক্রবর্তীর নেতৃত্বে যে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল, তাতে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছিলেন অলীকের স্ত্রী শর্মিষ্ঠাও। পুলিশের উপর হামলা, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ একাধিক অভিযোগে অলীক, শর্মিষ্ঠাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে মুক্তিও পান তাঁরা। শর্মিষ্ঠা যেদিন গ্রেফতার হয়েছিলেন, গ্রিড সংলগ্ন বিভিন্ন রাস্তায় চলেছিল অবরোধ। শর্মিষ্ঠাদের সেদিনের লড়াই ভাঙড়ের প্রত্যন্ত খামারআইট, মাছিভাঙা, বকডোবা, টোনা গ্রামগুলিকে রাতারাতি বানিয়ে তুলেছিল ‘আন্দোলনের গ্রাম’।
আরও পড়ুন: নিউটাউনে হোটেল ভাড়া করে গ্যাংস্টারদের পার্টি, দেদার উল্লাসে মেতেছিল ভুল্লার-যশপ্রীতরা
সেই লড়াকু নেত্রী শর্মিষ্ঠা হার মানলেন জীবনযুদ্ধে। ইনটেস্টাইন সংক্রমণের জেরে থামল লড়াই। সোমবার তাঁর দেহ এসএসকেএম হাসপাতালে দান করা হবে। তার আগে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন শর্মিষ্ঠার প্রিয়জনেরা।