কলকাতা: এ সঙ্ঘাত যেন শেষ হওয়ার নয়। এবার শোভন চট্টোপাধ্যায় (Shovon Chattopadhaya)-এর ‘সাক্ষাৎকার’ নিয়ে ফেসবুক থেকে রত্না চ্যাটার্জি (Ratna Chatterjee)কে তীব্র আক্রমণ করলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় (Baishakhi Banerjee)। সেখানে একাধিক ছবি পোস্ট করে শোভন প্রশ্ন তুললেন রত্নার সঙ্গে দোলনায় কে দুলছেন। আর বৈশাখী বাংলা সিরিয়ালের তুলনা টেনে বললেন, নিজেকে ‘শ্রীময়ী’ হিসাবে দেখাতে গিয়ে তাঁকে ‘জুন আন্টি’ করতে চেয়েছেন রত্না।
শনিবার রাতে ফেসবুক লাইভে আসেন শোভন ও বৈশাখী। ৫৪ মিনিটের কিছু বেশি সময়ের এই ফেসবুক লাইভে রত্নার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনেন শোভন-বৈশাখী। এই ভিডিয়োয় প্রশ্নকর্তার ভূমিকায় ছিলেন বৈশাখী এবং উত্তরদাতা শোভন। একই সঙ্গে নিজে ফেসবুক প্রোফাইল থেকে সেখানে রত্না ও আরও বেশ কয়েকজনের ছবি প্রকাশ্যে আনেন বৈশাখী। তাতে কোথাও রত্না দোলনার উপর বসে রয়েছেন, কোথাও গল্পে মেতে আছেন। সেখানে পুরুষ-মহিলা মিলিয়ে অনেকেই আছেন। শোভন দাবি করেন, ওই ছবিতে থাকা এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে রত্নার। সেখানে এক অন্য মহিলার সিগারেট খাওয়ার ছবিও প্রকাশ করেন তাঁরা।
শোভনের অভিযোগ, ‘রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বৈশাখী ফোবিয়া রয়েছে। রত্নার বিষয়ে যখন আমি সব কথা জানতে পেরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছিলাম। উনি আমাকে বাড়ি ছেড়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমার আনুগত্য রয়েছে।’ অপরদিকে, বৈশাখী দাবি করেন, সিবিআই-এর হাতে শোভন গ্রেফতার হওয়ার পর নিজাম প্যালেসে গিয়ে নিজেকে ‘শ্রীময়ী’ রূপে দেখাতে চেয়েছিলেন রত্না। আর বৈশাখীকে দেখানোর চেষ্টা হয়েছে ‘জুন আন্টি’র মতো। রত্না চট্টোপাধ্যায়কে সুরা আসক্ত বলেও আক্রমণ করেছেন শোভন। স্ত্রীকে ব্যভিচারীও বলতে শোনা যায় শোভনকে।
বৈশাখী অভিযোগ করেছেন, “আমাকে ঢাল করে নিজের কুকীর্তি লুকোতে চাইছেন রত্না। নিজেকে ‘শ্রীময়ী’ বানাতে গিয়ে আমাকে ‘জুন আন্টি’র সঙ্গে তুলনা টানছেন।” শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, রত্না চট্টোপাধ্যায় দিঘাতে পার্টি করেন, উদ্দাম জীবন যাপন করেন। স্ত্রীয়ের ব্যাভিচারের ‘প্রমাণ’ হিসাবে বৈশাখীর ফেসবুক পোস্টে রত্নার সঙ্গে দোলনায় বসা এক পুরুষকে ইঙ্গিত করেন শোভন। প্রশ্ন তোলেন, রত্নার সঙ্গে দোলনায় ওই পুরুষ কে?
শোভন এমনও বলেন, রত্নার সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের জন্য কোনওভাবেই দায়ী নন বৈশাখী। বরং নিজের ‘ব্যাভিচার’ ঢাকতে তাঁর সঙ্গে বৈশাখীর নাম জড়িয়ে কুৎসা করেন রত্না। আর রত্না যে ব্যাভিচারিণী তাঁর কিছু প্রমাণও ছবি-আকারে রাখা হয়েছে ফেসবুক পোস্টে। যা নিয়ে বিতর্ক আসন্ন। শোভনকে বলতে শোনা যায়, “রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ব্যভিচারী জীবনের জন্যই আমি ডিভোর্সের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছিলাম। চার বছর আগে নেওয়া সিদ্ধান্ত একেবারেই সঠিক ছিল বলে আমি মনে করি। রত্নার সঙ্গে অন্য যুবকের সম্পর্ক রয়েছে জানতে পেরেই আমি বিচ্ছেদের রাস্তা বেছে নিয়েছিলাম।”
আরও পড়ুন: রত্নাকে দেখতে না চেয়ে আইনি চিঠি শোভনের! স্ত্রী বললেন, যাদের ঘরে ঢোকার তারাই ঢুকবে
এই নিয়ে রত্না দেবীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি মন্ত্রী পার্থ চট্টোাধ্যায়ের মায়ের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকায় এখন কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। সব মিলিয়ে আবারও সঙ্ঘাতের পথে বৈশাখী ও রত্না।