রত্নাকে দেখতে না চেয়ে আইনি চিঠি শোভনের! স্ত্রী বললেন, যাদের ঘরে ঢোকার তারাই ঢুকবে
স্ত্রীকে হাসপাতালের ঘরে ঢুকতে নিষেধ শোভনের আইনি চিঠি। রত্না বললেন, "আমি কেন ওর ঘরে ঢুকব। যাদের ঢোকার তারাই ঢুকবে।''
কলকাতা: নারদ মামলায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর নিজাম প্যালেসে ছুটে গিয়েছিলেন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে প্রেসেডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার পর গেটে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তার অব্যবহিত পরে এসকেএমের (SSKM) উডবার্ন ওয়ার্ডে শোভনের ভর্তির পর নিজেও সেখানে ভর্তি হতে চান বান্ধবী।
নারদ মামলার একপাশে শোভনের জন্য স্ত্রী ও বান্ধবীর এই উৎকণ্ঠা আলাদা করে নজর কেড়েছে সবার। কিন্তু সেই রত্না-শোভন-বৈশাখী, ত্রয়ীকে নিয়ে আবারও জটিলতা এসএসকেএমে। এদিন এসএসকেএমে গেলেও শোভনের ঘরে ঢুকলেন না রত্না। যার নেপথ্যে নাকি বান্ধবী বৈশাখীর ভূমিকা রয়েছে! প্রশ্ন উঠেছে এসএসকেএম সুপারকে দেওয়া শোভনের আইনজীবীর এক চিঠিকে কেন্দ্র করে।
এদিন এসএসকেএম সুপারকে দেওয়া চিঠিতে শোভনের আইনজীবী লিখেছেন, রত্নাকে যেন তাঁর মক্কেলের কাছে যেতে না দেওয়া হয়। অন্তত যতক্ষণ না শোভন নিজে অনুমতি দিচ্ছেন। এই প্রেক্ষিতে বুধবার রাতে রত্না এসএসকেএমে এলেও ঢুকলেন না শোভনের ঘরে ঢুকলেন না। কিন্তু কেন শোভনের আইনজীবীর এই চিঠি?
শোভন-রত্নার বিবাহ-বিচ্ছেদ মামলা চলছে। তাই রত্না এবং তাঁর সঙ্গীরা হাসপাতালে ঢুকে অশান্তি তৈরি করতে পারেন। খোদ শোভনই নাকি এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বলে ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে। এমনকি ছেলে সপ্তর্ষি এবং মেয়ে সুহানিকেও যেন ঢুকতে না দেওয়া হয়, সুপারকে এমনই অনুরোধ করেছেন আইনজীবী
এই চিঠির নেপথ্যে শোভনের বান্ধবী বৈশাখী আছেন বলে মনে করছেন কেউ কেউ। এদিকে এই চিঠির প্রেক্ষিতে হাসপাতাল সুপার কী সিদ্ধান্ত নেবেন জানা না গেলেও এদিন হাসপাতালে এসেও শোভনের কাছে গেলেন না রত্না। বললেন, “আমি কেন ওর ঘরে ঢুকব। যাদের ঢোকার তারাই ঢুকবে।” রত্না যোগ করেন, আমার ছেলে-মেয়ে ঢুকবে। কিন্তু ‘অসুস্থ’ শোভনের আইনি চিঠিতে পুত্র-কন্যার প্রবেশও যে বারণ!