কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। মানবাধিকার কমিশন নিয়ে রাজ্যের আপত্তি খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্ট। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কমিটিতে ১১ সদস্য নিয়ে হাই কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন করেনি। একই সঙ্গে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, কমিটিতে তিন জন প্রধান দায়িত্বে থাকবেন, বাকি সদস্যরা তাঁদের সাহায্য করবেন। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন তিনজনের বেশি সদস্য নিয়ে আসা হয়েছে রাজ্যে, সেই প্রশ্নই তোলা হয়েছিল আদালতে।
ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তদন্তের জন্য মোট তিনজন সদস্যের কমিটি তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিরোধী দলের কর্মীদের অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন, ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে ভয়ে ঘরে ফিরতে পারছেন না তাঁরা। সেই সব ঘড়ছাড়াদের অভিযোগ শোনার জন্যই তিন সদস্যের ওই কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু পরে দেখা যায় মোট ১১ জন সদস্য এসেছেন এ রাজ্যে। রাজ্যের কাছে সেই ১১ জনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার আবেদন জানানো হয়েছিল। পরিবহন পরিষেবাও চাওয়া হয়েছিল রাজ্যের কাছে। এরপরই প্রশ্ন তোলে রাজ্য। কমিটি বাড়ানোর কোনও নির্দেশ না থাকা সত্ত্বেও কেন সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হল, তা নিয়েই মামলা হয়। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার।
গত মঙ্গলবারই এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই দু পক্ষের কথা শোনা হয়। রাজ্যের প্রশ্নের মুখে জবাব দিতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কমিটির আইনজীবী সুবীর স্যানাল জানিয়েছিলেন, মোট ৪০০ টি অভিযোগের পাশাপাশি আরও ১০০ টি অতিরিক্ত অভিযোগ জমা পড়েছে। এত জনের কথা শুনতে গেলে লোকসংখ্যাও বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তিনি জানান, এই বিষয়ে গত ১১মে বৈঠক হয়েছে। আর সেই বৈঠকের পর অতিরিক্ত লোকের প্রয়োজন অনুভব করা হয়। তাই ১১ জনকে আনা হয়েছে। এ দিন কমিটির পক্ষেই রায় দিল আদালত।