কলকাতা : বুধবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে প্রয়াত গায়ক কেকের দেহের ময়না তদন্ত করা হয়। সেখানে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলেছে, দীর্ঘদিন ধরেই হার্টের সমস্যা ছিল। সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত মিলেছে, মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রেকশন বা হার্টের পাম্পিং ফেল করে যায় গায়কের। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন দীর্ঘদিন ধরে কেকে’র গ্যাসের সমস্যা ছিল। প্রায়শই গ্যাসের ওষুধ খেতেন তিনি। ৩০ মে কলকাতা থেকে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথাও হয়েছিল ফোনে। তখন তিনি বলেছিলেন, “আমার কাঁধে এবং হাতে ব্যাথা করছে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, কেকে হোটেলের ঘরে ঢুকে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর হোটেলের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের লিস্টেড চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন। চিকিৎসক গোটা বিষয় শুনে তাঁর হোটেলে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা না করেই, কেকে-কে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। হোটেলের তরফে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স হোটেলে পৌঁছতে দেরি হয়। তাই কোনও রকম দেরি না করেই চিকিৎসকের পরামর্শ মাথায় রেখে দ্রুত হোটেলের গাড়িতে করেই সঙ্গীতশিল্পীকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
ঘটনার তদন্তে নেমে হোটেল কর্মী, হোটেলের শিফট ম্যানেজার এবং কেকে’র ম্যানেজার, মিউজিশিয়ান সহ আরও বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। সেই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব এবং সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই এই বিষয়গুলি তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধেয় কলকাতার নজরুল মঞ্চে গুরুদাস কলেজের এক অনুষ্ঠানে এসেছিলেন কেকে। নজরুল মঞ্চের দর্শক আসন প্রায় আড়াই হাজার। কিন্তু ভিড় হয়েছিল প্রায় হাজার সাতেক মানুষের। সেই ভিড়ের মধ্যে এসিতে কোনও কাজ দিচ্ছিল না বলেই দাবি করেছেন একাংশ। আর এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার কেকে-কে একটি সাদা রুমাল দিয়ে বার বার মুখ মুছতে দেখা গিয়েছে।