কলকাতা: প্রাথমিকের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় পর্ষদকে কড়া ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। এক টেট প্রার্থীর ইন্টারভিউ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও, কেন পর্ষদ তা নিল না, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। নির্দেশ মতো সোমবার হাইকোর্টে হাজিরা দেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল (Goutam Pal)। বিচারপতিকে তিনি আশ্বাস দেন, কোর্টের নির্দেশ এক সপ্তাহের মধ্যে মানা হবে।
এক মামলার ভিত্তিতে গত ৭ জুন এক টেট প্রার্থীর ইন্টারভিউ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই ইন্টারভিউ এখনও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। আদালতের নির্দেশ না মানায় পর্ষদকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু পর্ষদ দাবি করেছিল, ডিভিশন বেঞ্চে মামলা হয়েছে। তাই ইন্টারভিউ নেওয়া হচ্ছে না।
সোমবার বিচারপতি জানতে পারেন, এদিনই ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছে পর্ষদ। তাহলে আগেই কেন ডিভিশন বেঞ্চের কথা বলা হল? তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবারই পর্ষদ সভাপতিকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। আপিলের নথি নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল তাঁকে। তিনি হাজিরা না দিলে, তাঁর বেতন বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
আদালতে এদিন গৌতম পাল বিচারপতির কাছে এক সপ্তাহ সময় চান। বিচারপতির নির্দেশ মানা হবে বলেও জানান তিনি। পর্ষদ সভাপতি বলেন, আমার বেতন বন্ধ করবেন না। আমার পরিবারে একমাত্র আয় আমার। আমার বয়স্ক মা-এর চিকিৎসা চলছে। তাঁরা দাবি, আগেও অনেক নির্দেশ মেনেছেন তিনি, আগামী নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও সুযোগ দেবেন ওই প্রার্থীকে। ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন গৌতম পাল। মামলাকারী যোগ্য হলে তিনি চাকরির সুযোগ পাবেন বলেও আশ্বস্ত করেছেন গৌতম পাল।