কলকাতা: শীতের রাতেও আন্দোলনে বিরাম নেই। কাঁপতে কাঁপতে রাত জাগছেন বহু চাকরি প্রার্থী। বুধবার মধ্যরাতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়লেন প্রাথমিকের (Primary) চাকরিপ্রার্থী সঙ্গীতা দাস। পুলিশের দেখা মিললেও অ্যাম্বুল্যান্সের কোনও ব্যবস্থা হয়নি বলেই অভিযোগ। পুলিশের গাড়িতে করেই সঙ্গীতাকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। পরে এমার্জেন্সিতে শুরু হয় চিকিৎসা। আর কতজন অসুস্থ হলে, সরকারের টনক নড়বে, সেই প্রশ্ন তুলছেন চাকরি প্রার্থীরা।
সন্দেশখালির বাসিন্দা সঙ্গীতা গত তিনদিন ধরে বালিগঞ্জে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সামনে অবস্থানে অংশ নিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গীরা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে আচমকাই তাঁর বুকে ব্যাথা শুরু হয়। এরপর কাঁপুনি দিয়ে জ্বরও আসে। তখন অন্যান্যরা তাঁকে ঘাড়ে, মাথায় জল দেন কিন্তু অসুস্থতা আরও বাড়ে। রাত আড়াইটা নাগাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সঙ্গীতাকে। সেখানে প্রথমে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় তাঁকে। বৃহস্পতিবার সকালে ওপিডিতে দেখাতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
যাঁরা বালিগঞ্জে অবস্থানে বসেছেন, তাঁরা ২০০৯ সালের প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থী। দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁদের নিয়োগ পত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তারপর নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও, তাঁরা নিয়োগ পত্র না পাওয়ায় অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলনকারী এক চাকরি প্রার্থী জানান, ১৪ দিনের মধ্যে নিয়োগ পত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ২৭ দিন পেরিয়ে গেলেও সেই নিয়োগ হয়নি বলেই অভিযোগ।
সেই কারণেই প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের অফিসের সামনে বিক্ষোভ চলছে। তবে শিক্ষা সংসদের দাবি, তাদের তরফে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এবার বিকাশ ভবন ও অর্থ দফতরের থেকে অনুমোদন এলেই মিলবে চাকরি।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০১০ সালে জেলা ভিত্তিক পরীক্ষা হয়। পরে তৃণমূল সরকার এসে সেই পরীক্ষা বাতিল করে দেয় বলে অভিযোগ। ফের লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ হয় ২০১৪ সালে। কিন্তু নানা জটিলতায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার নিয়োগ আটকে ছিল।