কলকাতা: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে একাধিক বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি-সিবিআই। গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক শিক্ষাকর্তা। টেটের ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলার মতো ঘটনা ঘটেছে। আবার কখনও এসএসসিতে সাদা খাতা জমা দিয়ে বেশি নম্বর পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্যের সামগ্রিক শিক্ষা পরিকাঠামো তিনি প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল। তাই এবার আরও সাবধানী প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Education Board)। অতীতের যে কাজগুলির জন্য অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থাকে, এবার যাতে সেগুলির পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরই গৌতম পাল স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন, আগামী দিনে সবকিছু স্বচ্ছভাবে হবে। প্রতিবছর টেট হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। কী কী পদক্ষেপ করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ?
সমাধান: নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতা আনতেই ওএমআর শিটের ব্যবস্থা নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু সেখানেও অস্বস্তি। আদালতের সওয়াল-জবাবে উঠে এসেছে, ২০১৪ সালের টেটে ১২ লাখেরও বেশি ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে যাতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আবার নতুন করে পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করে এবার ওএমআর শিটের প্রতিলিপি প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ।
সমাধান: পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সিসিটিভি ক্যামেরা রাখার বিষয়টিও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি পর্ষদের অফিস থেকে ভিডিয়ো মনিটরিংও করা হতে পারে। যে সব পরীক্ষাকেন্দ্রগুলি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত হবে, সেগুলিতে ১৪৪ ধারাও জারি থাকতে পারে বলে পর্ষদ সূত্রে খবর।
সমাধান: পরীক্ষার সময়ে পর্ষদের একজন পর্যবেক্ষক নিযুক্ত থাকবেন। তাঁর সামনেই প্রশ্নপত্র খোলা হবে এবং তা দেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রশ্নপত্রের প্রতিলিপি পরীক্ষার্থীরা বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন। পাশাপাশি পর্ষদের তরফে স্যাম্পেল উত্তরপত্রও প্রকাশ করা হবে এবং তা চ্যালেঞ্জ করার সুযোগও থাকছে।
সমাধান: সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে রয়েছে ডিএলএড কলেজগুলিও। এবার সেই ডিএলএড পরীক্ষাগুলির ক্ষেত্রেও সতর্ক পর্ষদ। ডিএলএড পরীক্ষা আর হোম সেন্টারে নেওয়া হবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। তার বদলে রাজ্যের আওতাধীন বিভিন্ন স্কুল ও সরকারি কলেজগুলিতে ডিএলএড পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।