কলকাতা : ভবানীপুরের জোড়া খুন ঘিরে এখন তোলপাড় হচ্ছে রাজ্য। সোমবার সন্ধেয় ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি স্ট্রিট থেকে এক দম্পতির রক্ত মাখা দেহ উদ্ধার হয়। এরপর মঙ্গলবার দেহের ময়নাতদন্ত করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। রশ্মিতা শাহর মাথায় বুলেটের আঘাতের খবর আগেই প্রকাশ হয়েছিল। এবার আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে। মাথার পিছন দিক থেকে গুলি করা হয় রশ্মিতা শাহকে। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়েছিল তাঁকে। মাথা এফোঁড় ওফোঁড় করে সামনে দিক থেকে বেরিয়ে যায় গুলি। সূত্র মারফত এমনই জানা গিয়েছে। রশ্মিতার স্বামী অশোকের ঘাড়ে, কোমরে এবং পেটে একাধিক ধারাল অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
এদিকে ভবানীপুরের দম্পতির মৃত্যু ঘিরে পরতে পরতে রহস্যের মোড়। পুলিশ সূত্র মারফত আরও বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, অশোক শাহ ফ্ল্যাট বিক্রির চিন্তাভাবনা করছিলেন। একজনের সঙ্গে ফ্ল্যাট বিক্রি নিয়ে কথা বেশ কিছুদূর এগিয়েও গিয়েছিল। যার সঙ্গে কথা এগিয়েছিল, এক সপ্তাহ আগেই তার থেকে অগ্রিম বাবদ এক লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন অশোক শাহ। সূত্রের খবর, ফ্ল্যাট বিক্রি করার চূড়ান্ত অঙ্ক ঠিক করার ক্ষেত্রে একটা দরদাম চলছিল দুই পক্ষের মধ্যে। জানা গিয়েছে, অগ্রিম বাবদ ওই এক লাখ টাকা চেকের মাধ্যমে নিয়েছিলেন অশোক। আততায়ীরা ঘরের একটি আলমারি ভাঙলেও, অন্য আলমারিটি ভাঙতে পারেনি।
গোটা ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। তদন্ত প্রক্রিয়া যত এগোচ্ছে, তত রহস্যের জট খুলছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, জোর করে কেউ বাড়িতে ঢোকেনি। সূত্রের খবর, ট্রেডিং ছাড়াও টর্চের ব্যাটারির ব্যবসা ছিল অশোকদের। গত কয়েক বছর ধরে সেভাবে কিছু করছিলেন না তিনি। এদিকে ঘটনাস্থলের সবথেকে কাছে থাকা তিনটি সিসিটিভি বিকল ছিল। তবে আশপাশের এলাকা এবং বাড়িগুলিতে থাকা ১০০-র বেশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।