কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের টাকা দিতে অপারগ। সিবিআই-কে চিঠি দিয়ে জানাল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সূত্রের খবর, হাইকোর্টে গিয়েও এই বিষয়টি উল্লেখ করবে পর্ষদ।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০১৪ সালের প্রাথমিকের নষ্ট করা OMR শিটের ডিজিট্যাল কপিগুলোকে যে কোনও মূল্যে উদ্ধার করতে হবে। তা করতে প্রয়োজনে বিদেশি সংস্থারও সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।সেই খরচ রাজ্য সরকার কিংবা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বহন করবে বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।
এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি নিজাম প্যালেসে পর্ষদের তরফ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, তারা এই খরচ বহন করতে পারবে না। প্রয়োজনে তাঁরা এই বিষয়টি হাইকোর্টকেও জানাবে। উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ আসার পরই এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি ও পর্ষদের অফিস থেকে প্রচুর সার্ভার ও হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছিলেন তদন্তকারীরা। পর্ষদে তল্লাশি চালিয়ে ৬টি হার্ড ডিস্ক হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দা আধিকারিকরা। আর তাতেই রয়েছে ডিজিটালাইজড্ মেধা তালিকা থেকে নিয়োগ তালিকা। সেগুলিকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু এরই মাঝে পর্ষদের তরফ থেকে এরকম একটি চিঠি পাঠানোর পর তদন্তের অভিমুখ কোন দিকে যাবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
এখনও পর্যন্ত এটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, কোন সংস্থাকে দিয়ে OMR শিটের ডিজিট্যাল কপি ও তথ্য উদ্ধার করানো হবে। তাতে কত খরচ পড়তে পারে, তার আগেই পর্ষদের তরফ থেকে এরকম একটি চিঠি পাওয়ায় সন্ধিহান তদন্তকারীরাই।