Manik Bhattacharya: মানিকের বাড়িতেই তৈরি হতো টেটের প্রশ্ন? ED-র দাবি সত্যি হলে পাল্টে যাবে সব হিসেব
Manik Bhattacharya: পার্থ ছাড়পত্র দিতেই কাজে নেমে পড়তেন মানিক। নিয়ম ভেঙে নিজের বাড়িতেই প্রশ্ন তৈরি করাতেন তিনি।
কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই নিত্যনতুন তথ্য় ইডি-র (ED) হাতে আসছে। তদন্তকারী সংস্থার সূত্রের দাবি প্রাথমিক টেটের প্রশ্ন মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) বাড়িতেই তৈরি হত। তাতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) যোগসাজস ছিল। রীতিমতো দুর্নীতির জাল বিছিয়েছিলেন দুই কীর্তিমান। এমনটাই দাবি ইডি সূত্রের। ইডি কর্তাদের দাবি মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি কার্যত দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছিল।
এদিকে ইডি কর্তারা শুরু থেকেই দাবি করে আসছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রীতিমতো ঘনিষ্ঠতা ছিল মানিকের। তাদের এখনও পর্যন্ত চলা তদন্তে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে এটা কার্যত প্রমাণিত। ইডি-র গোয়ান্দাদের দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশেই নিয়োগ পরীক্ষার নিয়ন্ত্রক হয়ে ওঠেন মানিক। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর মদতেই প্রশ্ন তৈরির তদারকি করতেন মানিক। তিনিই ঠিক করতেন কারা কারা প্রশ্ন সেট করবেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে এই বৈঠকে শিলমোহর পড়ত। এইসব বৈঠকে এসপি সিনহা, কল্যানময় গঙ্গোপাধ্যায়রাও থাকতেন। পার্থ-মানিকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে এই তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের খবর।
পার্থ ছাড়পত্র দিতেই কাজে নেমে পড়তেন মানিক। নিয়ম ভেঙে নিজের বাড়িতেই প্রশ্ন তৈরি করাতেন তিনি। প্রশ্ন তৈরি করার পর তা মানিকের কাছে জমা করতেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। অভিযোগ, এক কপি প্রশ্ন নিজের কাছে রেখে তা ছাপাতে পাঠাতেন মানিক। ইডি-র দাবি নিজের কাছে রাখা এই প্রশ্নের কপি নিয়েই ‘খেলা’ শুরু করতেন মানিক। অভিযোগ, তিনি রীতিমতো প্রশ্ন ফাঁস চক্র গড়ে তুলেছিলেন। যাঁদের নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করতেন মানিক তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই তথ্য ইডি-র হাতে এসেছে। সূত্রের খবর, যদিও জেরায় এই সব প্রশ্নের জবাবে মুখ খোলেননি মানিক। তাঁর দাবি, তাঁর সময়ে কোনও কারচুপি হয়নি। সব কাজই হয়েছে নিয়ম মেনে। তবে ইডি সূত্রে খবর, শুধু প্রাথমিকে নয় পার্থর দৌলতে নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগ ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মানিক ভট্টাচার্যের।
যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “শুধু দাবি করলে তো হবে না প্রমাণ করুন তাড়াতাড়ি। এর আগে তো শুনেছিলাম মানিক ভট্টাচার্য পালিয়ে গিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে দেখা যায় তিনি যাদবপুরের বাড়িতে বসে রয়েছেন। ইডি তদন্ত দ্রুততার সঙ্গে কেন শেষ করছে না? কেন এসব বলে মিডিয়া ট্রায়ালের মতো সামাজিক সম্মানহানি করা হচ্ছে?”