Primary TET Case: প্রাথমিকের নিয়োগ-মামলায় সিবিআই তদন্ত, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ পর্ষদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jun 16, 2022 | 12:03 PM

বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চায় তারা।

Primary TET Case: প্রাথমিকের নিয়োগ-মামলায় সিবিআই তদন্ত, সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ পর্ষদের
কলকাতা হাইকোর্ট

Follow Us

কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের পর এবার সামনে এসেছে প্রাথমিকের নিয়োগ- দুর্নীতি। টেট না দিয়েও চাকরি হয়েছে, এমন অভিযোগ উঠেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। ইতিমধ্যেই শুরুও হয়ে গিয়েছে সেই তদন্তের প্রক্রিয়া। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বৃহস্পতিবার সেই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি হবে বলে জানা গিয়েছে।

প্রাথমিকের নিয়োগ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। গত সোমবার প্রাইমারি বোর্ডের সেক্রেটারি রত্না চক্রবর্তী বাগচী এবং সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। সে দিনই সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তাঁরা। শুধু তাই নয়,  একইসঙ্গে ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে আদালতের নির্দেশে। তাঁদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি বিচারপতি বলেছেন, তাঁরা যেন স্কুলে না ঢোকেন। টেট পাশ না করেও চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ২৬৯ জনের বিরুদ্ধে।

প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে যে টেট হয়েছিল, সেই  পরীক্ষা ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এই পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৭ সালে একটি প্যানেল প্রকাশিত হয়। অভিযোগ, এই প্যানেলের এক বছর পর আবারও প্যানেল প্রকাশিত হয়। এই প্যানেল নিয়ে প্রাইমারি বোর্ডের দাবি, উত্তরপত্রে ১ নম্বর করে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, কারণ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে একটি প্রশ্ন ভুল ছিল। অভিযোগ, এই ১ নম্বর পেয়েছেন ২৬৯ জন। আদালত জানতে চায়, ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২৬৯ জনকে কেন এই নম্বর দেওয়া হল? দ্বিতীয় প্যানেল প্রকাশেরই বা কারণ কী ছিল?

ইতিমধ্যেই সিবিআই এই নিয়োগ মামলার তদন্ত শুরু করেছে। দুই আধিকারিককে সে দিনই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে, পর্ষদের দাবি, প্রাথমিকের নিয়োগে কোনও দুর্নীতি হয়নি। তাই সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে তারা।

Next Article