AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Wrong Treatment: চিকিৎসায় এত বড় ভুল হাসপাতালের? কঠিন পরিস্থিতিতে ১০২ বছরের বৃদ্ধ

Old Man: বৃদ্ধের ছেলের বক্তব্য, বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা করানোর আগে পর্যন্ত হাঁটাচলা করতে পারতেন বৃদ্ধ। কিন্তু এখন তিনিই শয্যাশায়ী। এই বয়সে অস্ত্রোপচারে সংক্রমণের সম্ভাবনাও রয়েছে। একজন শতায়ু নাগরিককে এমন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়ার দায় কার!

Wrong Treatment: চিকিৎসায় এত বড় ভুল হাসপাতালের? কঠিন পরিস্থিতিতে ১০২ বছরের বৃদ্ধ
অসুস্থ বৃদ্ধ নির্মল সেনImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 25, 2023 | 3:52 PM
Share

কলকাতা: সরকারি থেকে বেসরকারি, হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ নতুন নয়। চিকিৎসকদের সামান্য ভুলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে রোগীদের। এবার এক শতায়ু বৃদ্ধের চিকিৎসায় বড়সড় গাফিলতির অভিযোগ উঠল খাস কলকাতায়। হাসপাতাল থেকে ফেরার পর শরীরে কমতে শুরু করেছে অক্সিজেনের মাত্রা। বৃদ্ধের ছেলের অভিযোগ, হাসপাতালের ভুলে শয্যাশায়ী অবস্থা হয়েছে ওই বৃদ্ধের।

কলকাতায় পঞ্চসায়রের এক বেসরকারি হাসপাতালে রক্তাল্পতার চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন নির্মল সেন নামে ওই বৃদ্ধ। বয়স ১০২ বছর। রক্তাল্পতার জেরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন সার্ভে পার্কের বাসিন্দা নির্মলবাবু। গত ১ ডিসেম্বর ওই বেসরকারি হাসপাতালে দেখাতে নিয়ে গেলে তাঁকে ভর্তি করে দু ইউনিট রক্ত দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। সেই সঙ্গে গ্লকোমার চিকিৎসার জন্য চক্ষু বহির্বিভাগে রেফার করা হয় বৃদ্ধকে।

চক্ষু বিভাগে পরীক্ষা করার সময় টুল থেকে পড়ে গিয়ে চোট পান বৃদ্ধ। পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীদের গাফিলতির কারণেই পড়ে যান বৃদ্ধ। ছেলে শান্তনু সেনের দাবি, চোট পাওযার পর অর্থোপেডিক বিভাগে বৃদ্ধের কোমরের এক্স-রে না করে পায়ের এক্স-রে করান চিকিৎকেরা। পায়ের এক্স-রে রিপোর্টে হাড় ভাঙার চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এরপর গত ৪ ডিসেম্বর বৃদ্ধকে ছুটি দেয় ওই বেসরকারি হাসপাতাল। বাড়ি ফেরার পর বৃদ্ধের দেহে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে শুরু করে।

অন্য এক চিকিৎসকের পরামর্শে কোমরের এক্স-রে করানো হলে দেখা যায়, হাড় ভেঙেছে বৃদ্ধের। যার জেরে ১০২ বছরে হাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্রোপচার করতে হবে তাঁকে। আপাতত বাবা স্থিতিশীল হলেও ছেলের বক্তব্য, বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা করানোর আগে পর্যন্ত হাঁটাচলা করতে পারতেন বৃদ্ধ। কিন্তু এখন তিনিই শয্যাশায়ী। এই বয়সে অস্ত্রোপচারে সংক্রমণের সম্ভাবনাও রয়েছে। একজন শতায়ু নাগরিককে এমন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেওয়ার দায় কার!

অভিযোগ প্রসঙ্গে ওই বেসরকারি হাসপাতাল ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে চায়নি। মৌখিক প্রতিক্রিয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চক্ষু বহির্বিভাগের ঘটনার দায় মূল হাসপাতালের নয়। সেটি একটি আলাদা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান। রোগীর পরিবার চাইলে স্বাস্থ্য ভবন, স্বাস্থ্য কমিশন, মেডিক্যাল কাউন্সিল বা ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে অভিযোগ জানাতে পারেন।