সন্দেশখালি: সন্দেশখালি আছে সন্দেশখালিতেই। শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার গ্রেফতার হওয়ার পরও ছবিটা বদলাচ্ছে না। আবারও রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এলাকার মহিলারা। শুক্রবার সকাল থেকেই সামনে আসছে সেই ছবি। এবার ভিন্ন অভিযোগ। জমি দখল, মহিলা নির্যাতনের মতো অভিযোগ তো ছিলই, এবার অভিযোগ উঠল, ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে। যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁদের টাকা দেওয়া হচ্ছে না, অথচ যাঁরা এ রাজ্যে কাজই করেন না, তাঁরা টাকা পেয়ে যাচ্ছেন। এমনই অভিযোগ উঠেছে সন্দেশখালিতে।
১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা কেন্দ্র না মেটানোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে সেই টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে সেই টাকা পেতে শুরু করেছেন ১০০ দিনের কাজ করা কর্মীরা। আর সেই টাকা নিয়েই নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে।
সন্দেশখালির এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত নিত্যবেড়িয়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ২০২২ সালে কাজ হয়েছিল ১৬ দিন। সেখানে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের পরিজনদের নামে ১০০ দিনের কাজ করার টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রশ্ন হল কী ভাবে? কেউ বলছেন, ১৬ দিন কাজ করেছেন এমন ৭৮ জন এখনও টাকাই পাননি। আবার কেউ বলছেন, ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন, এমন ব্যক্তিও তৃণমূল নেতৃত্বের বদান্যতায় টাকা পেয়েছে। সুপারভাইজারের বরুণ কুমার দাসের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ন্যাজাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দুখীরাম সর্দার, সমীর দাসরা।
এক গ্রামবাসী তালিকা তুলে ধরে বলেন, “জীবনে কোনও দিন ১০০ দিনের কাজ করেনি অমল কুমার দাস, তিনিও পেয়েছেন টাকা। বরুণ দাসের স্ত্রী অপর্ণা দাসও টাকা পেয়েছেন। এরা কেউ মাটির কী কাজ হয় জানে না, ভেড়ির দিকে যাওয়া না। ভিনরাজ্যে কাজ করেন, দীপক দাস। তাঁর অ্যাকাউন্টেও টাকা ঢুকেছে। ঠাণ্ডা ঘরে বসে সবাই ঠিক করে নেয় কে টাকা পাবে।” বড়বাবুর কাছে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
জেলার তৃণমূল নেতা ভাস্কর মিত্র এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “ওগুলো ভুল ধারনা। মুখ্যমন্ত্রী অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছে। বিজেপির ইন্ধনে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে।”