কলকাতা: কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সৌমেন্দু অধিকারীকে অপসারণের ঘটনা এবার আদালত অবধি পৌঁছতে চলেছে। বৃহস্পতিবার তেমনটাই আভাস মিলল। রাজ্যের নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করার অনুমতি চেয়েছিলেন সৌমেন্দু। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা তাঁকে অনুমতি দিয়েছেন। অর্থাৎ খুব শিগগিরিই রাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে আদালত কক্ষ অবধি টেনে নিয়ে যেতে চলেছেন অধিকারী বাড়ির কনিষ্ঠ পুত্র। নতুন বছরের শুরুতেই মামলার শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: টেটের বিজ্ঞপ্তি জারি, ৩১ জানুয়ারি পরীক্ষা
গত ২৮ ডিসেম্বর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর একটি নির্দেশিকা জারি করে সৌমেন্দু অধিকারীকে কাঁথি পুরসভার শীর্ষপদ থেকে সরিয়ে দেয়। তাঁর জায়গায় বসানো হয় সিদ্ধার্থ মাইতিকে। তিনি আবার প্রাক্তন কাউন্সিলর। অন্যদিকে বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের সদস্যতালিকায় নাম রাখা হয় পম্পারানি মাইতি, শেখ সাবুল, সুবল মান্না ও হাবিবুর রহমানের।
এই সিদ্ধান্ত মোটেই ভালভাবে নেয়নি অধিকারী পরিবার। অধিকারীদের অনুগামীদের একাংশও এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে। শেখ মসিউদ্দিন নামে এক কাঁথির বাসিন্দা জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করেন হাই কোর্টে। যদিও বৃহস্পতিবারই সেই মামলা পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠের বাড়িতে সিবিআই হানা
নিজেকে সিপিএম কর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়ে মসিউদ্দিন আদালতকে জানান, “২৯ ডিসেম্বর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নোটিফিকেশন ঘুরছে যেখানে ফিরহাদ হাকিমের সই রয়েছে, পুরসভার প্রশাসক বদল হয়েছে। আমার আবেদন আদালত এই নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিক।” পাল্টা সরকারি আইনজীবী বলেন, আইন অনুযায়ী পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী এই বদল করতেই পারেন। তাতে কোনও সমস্যা নেই। একইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, মামলাকারী রাজনৈতিক ব্যক্তি হলে তা আর জনস্বার্থ মামলা কীভাবে হয়। সবদিক বিচার করে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এখনও গেজেট নোটিফিকেশন হয়নি। নিছক অনুমানের উপর কোনও জনস্বার্থ মামলা হয় না। তাই কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ নয়, মামলাই খারিজ হয়ে যায়। তবে চাইলে অন্য বেঞ্চে যেতে পারেন মামলাকারী।
অন্যদিকে এদিনই সৌমেন্দু অধিকারীরা একই নোটিফিকেশনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার দ্বারস্থ হন। মামলা করার অনুমতি চান। বিচারপতিও অনুমতি দিয়েছেন। নতুন বছরের প্রথম দিকেই শুনানি হতে পারে।