কলকাতা: গুজরাটের সেতু বিপর্যয়ের পর সতর্ক পশ্চিমবঙ্গও। রাজ্য পূর্ত দফতরের (PWD) অধীনে মোট ২ হাজার ১০৯ টি সেতু রয়েছে। কেমন হাল এখন সেই সব সেতুগুলির? খোঁজখবর নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। মোরবির ভয়ঙ্কর সেতু বিপর্যয়ের পর আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য। রাজ্যে পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা সব ক’টি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিলেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় (Pulak Roy)। মঙ্গলবার পূর্তমন্ত্রী তাঁর দফতরের শীর্ষ কর্তা ও আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠকে বসেছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাঁর দফতরের অধীনে থাকা ২,১০৯ টি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে। এই নভেম্বর মাসের মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সমীক্ষা রিপোর্ট জমা দিতে হবে পূর্ত দফতরের কাছে। মঙ্গলবার এই কথা জানিয়েছেন পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়।
দিন কয়েক আগেই গুজরাটের মোরবিতে প্রায় একশো বছরের পুরনো একটি সেতু ভেঙে পড়েছিল। দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বহু বছরের পুরনো ওই সেতুটি সম্প্রতি সংস্কারের পর কিছুদিন আগেই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। সেই দুর্ঘটনার পর এবার সতর্ক পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। পূর্ত দফতরের শীর্ষ আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে গতকালের ওই বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যের পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা সব সেতুর বর্তমান অবস্থা কেমন রয়েছে, তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য। চলতি নভেম্বরের শেষের মধ্যে এই সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ সহ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বৈঠক সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যদি সমীক্ষা চলাকালীন কোনও সেতুতে, কোনও সমস্যা দেখা যায়, সেক্ষেত্রে দ্রুত সেই বিষয়ে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। বৈঠকে বেশ কয়েকটি সেতুর যত দ্রুত সম্ভব মেরামতি করার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই তালিকায় রয়েছেন শিলিগুড়ির করোনেশন ব্রিজ এবং কংসাবতীর উপরে বীরেন্দ্র শাসমল সেতু। আগামী ১০ নভেম্বর থেকে ,সাঁতরাগাছি ব্রিজের প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজও শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। এর পাশাপাশি কংসাবতী ও শিলাবতী নদীর উপর দুটি নতুন সেতু তৈরির পরিকল্পনা চলছে বলেও জানান তিনি।