কলকাতা: গত বছরের পর এ বছরও কোভিডের (COVID-19) থাবা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায়। এবার পরীক্ষা গ্রহণের সময় পিছিয়েছে, কমেছে পরীক্ষাগ্রহণের সময়সীমাও। পরীক্ষাসংক্রান্ত নিয়মাবলীতেও বদল। তিন ঘণ্টার পরীক্ষা হবে দেড় ঘণ্টায়। দিতেও হবে কম প্রশ্নের উত্তর। কিন্তু সেই প্রশ্ন কী রকম হবে, কী তার ধাঁচ? বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই ধন্দে পরীক্ষার্থীরা। পর্ষদ সূত্রে অবশ্য খবর, আগামী সপ্তাহেই এই প্রশ্নের ধরন নিয়ে বৈঠকে বসবেন আধিকারিকরা। সেখানেই চূড়ান্ত হবে, দেড় ঘণ্টার পরীক্ষায় কটা প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে। কোন প্রশ্নের জন্য কত নম্বর বরাদ্দ হবে।
বৃহস্পতিবারই নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে জুলাইয়ের শেষে। মাধ্যমিক হবে অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে। দু’টি পরীক্ষাই হোম সেন্টারে অর্থাৎ নিজ নিজ স্কুলেই দিতে পারবে পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা নেওয়া হবে শুধু মাত্র আবশ্যিক বিষয়গুলির উপর। অর্থাৎ মাধ্যমিক দিতে হবে ৭টি বিষয়ে, উচ্চমাধ্যমিক হবে ১৫টি বিষয়ে।
প্রশ্নের ধরন কী হবে তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “আগে ৩ ঘণ্টায় যদি ১০টার উত্তর লিখতে হত, এবার দেড় ঘণ্টায় ৫টা লিখবে ছেলে মেয়েরা। কিন্তু যতগুলি প্রশ্ন থেকে ওই ১০টা বাছাইয়ের সুযোগ পেত, ততগুলিই এবারও অপশন হিসাবে থাকবে। সেখান থেকেই বেছে ৫টা লিখবে। অর্থাৎ অনেক বেশি বাছাইয়ের সুযোগ। ফলে ওরা খোলা মনে পরীক্ষা দিতে পারবে।”
কিন্তু তা কী ভাবে বাস্তবায়িত হবে তা এখনও পর্ষদ বা বোর্ডের তরফে স্পষ্ট করা হয়নি। তারা আগামী সপ্তাহেই বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু এ নিয়ে ইতিমধ্যেই উৎকন্ঠা শোনা গিয়েছে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলের গলায়। তাঁর দাবি, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ১০০ নম্বরকে ৫০ নম্বরে বদলে দেওয়া হবে। এখন যে প্রশ্নপত্র তৈরি আছে তার অর্ধেকের উত্তর সেক্ষেত্রে লিখতে হবে। কিন্তু এটা মোটেই অত সোজা হবে না। কারণ প্রতিটি বিষয়ের প্রশ্নপত্রের বিভাজন আলাদা আলাদা। তাই ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নিতে হলে তার জন্য নতুন প্রশ্নপত্র তৈরি করা ছাড়া উপায় নেই।”
আরও পড়ুন: ইয়াস বিপর্যস্ত এলাকায় পৌঁছবে ‘দুয়ারে ত্রাণ’, কবে কী ভাবে আবেদন করতে হবে জানালেন মমতা
পর্ষদ সূত্রে খবর, হাতে এখনও বেশ কিছুটা সময় রয়েছে। এখনই প্রকাশ্যে কিছু না বলা হলেও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে ঘরোয়া ভাবে যে একটা রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে, তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আগামী সপ্তাহে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।