বনগাঁ : বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন আলোরানি সরকার। ভোটে অবশ্য তিনি হেরে গিয়েছিলেন। জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার। এরপরই পুনর্নিবাচনের জন্য আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন আলোরানি। বুধবার তাঁর দায়ের করা সেই ইলেকশন পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী এই পিটিশন খারিজের নির্দেশ দেন। এই ধাক্কা তো রয়েছেই। উল্টে এখন তাঁর নাগরিকত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। বিজেপি প্রার্থীর আইনজীবী আদালতে জানান, তৃণমূলের প্রার্থী আসলে বাংলাদেশের ভোটার। তাই তাঁর এ দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
মামলা চলাকালীন উঠে আসে, তৃণমূল প্রার্থীর বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে। বিজেপি প্রার্থীর আইনজীবীর এমন দাবির বিপক্ষে কোনও জোরদার সওয়াল করতে পারেননি আলোরানির আইনজীবী। সে ক্ষেত্রে এমন একজন কীভাবে নির্বাচনে লড়াই করলেন, তা নির্বাচন কমিশনকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের থেকে লড়াই করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আলোরানি সরকার। নির্বাচনে ২০০৪ ভোটে বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাস্ত হন তিনি। এমত অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টে পুনর্নির্বাচন চেয়ে আবেদন করেন আলোরানি। বুধবার ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন খতিয়ে দেখুক কীভাবে আলোরানি সরকার ভারতের নির্বাচনের প্রতিনিধিত্ব করছেন। ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের চোখ এড়িয়ে তিনি কীভাবে এটি করলেন, তাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আদালতে যে তথ্যগুলি উঠে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশের ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে আলোরানি সরকারের নাম। সেক্ষেত্রে আলোরানি সরকার নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করতে পারেন না। এই বিষয়টি নিয়েই জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদি বনগাঁ দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য, “আমার জন্ম এখানে। কিন্তু আমার বিয়ে হয়েছে ওখানে (বাংলাদেশে)। একজন মানুষের অন্য জায়গায় বিয়ে হলেও জন্মস্থান তাঁর সেখানেই থাকে। কে কোথাকার মানুষ, তা ডিভিশন বেঞ্চে জানা যাবে।”