R G Kar: ‘কোন ডক্টর দাস?’, তিলোত্তমার দেহ উদ্ধারের দিন ‘কথোপকথন’ বেমালুম ভুলে গেলেন অভীক!
R G Kar: কথা বার্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এক্সাক্টলি দেড় মাস আগে ফোনে কী কথা হয়েছে, তা এই মুহূর্তে মনে করে বলা সম্ভব নয়। তবে হ্যাঁ, ওঁর সঙ্গে আমার কথা হয়। নর্মালি কথা হয়। বিগত দিনগুলোতে অনেকবারই কথা হয়েছে। কিন্তু স্পেসিফিক ডেট-টাইম মনে করে বলা সম্ভব নয়।"
কলকাতা: তিনিই নাকি রাজ্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মেঘনাথ। তিনি ডক্টর শ্যামাপ্রসাদ দাস। যাঁর নামে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন জুনিয়র চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিরোধী চিকিৎসক সংগঠনের নেতারা। আরজি কর কাণ্ডে, তাঁর মুখেও শোনা গিয়েছে অভীক দে-র কথা। TV9 বাংলাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে ঘটনার দিন সেদিন (তিলোত্তমার দেহ উদ্ধারের দিন) দুপুর ২টো নাগাদ কথা হয়েছিল। এসপি দাসের বক্তব্য অনুযায়ী, অভীকই তাঁকে জানিয়েছিলেন, সেখানে খুন ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া নিয়েও কথোপকথন হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসক এসপি দাস। সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় অভীক দে-কে। কিন্তু প্রথমে ‘ড. দাস’ বলতে তিনি চিনতেই পারলেন না। তারপর ড. এসপি দাসের কথা বলতে তিনি বলেন, “ওঁ কী বলছেন, সেটা ওঁর নিজস্ব এক্তিয়ারের ব্যাপার। আমি কী বলব, সেটাই আপনাকে বলতে পারি। আমার সঙ্গে ওঁর সম্পর্ক… অবশ্যই ওঁ আমার পরিচিত। ওঁ একজন সিনিয়র অর্থোপেডিক সার্জেন। একজন প্রাইভেট প্রাক্টিশনার, আমাদের নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজের এক্স স্টুডেন্ট। এই হিসাবেই পরিচিত। এর থেকে বেশি কিছু না।”
কথা বার্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এক্সাক্টলি দেড় মাস আগে ফোনে কী কথা হয়েছে, তা এই মুহূর্তে মনে করে বলা সম্ভব নয়। তবে হ্যাঁ, ওঁর সঙ্গে আমার কথা হয়। নর্মালি কথা হয়। বিগত দিনগুলোতে অনেকবারই কথা হয়েছে। কিন্তু স্পেসিফিক ডেট-টাইম মনে করে বলা সম্ভব নয়।”
তিলোত্তমার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। যে কারণে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ অপূর্ব বিশ্বাসকে বারবার সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সেই ময়নাতদন্ত নিয়ে আবার কথা হয়েছে ড. এসপি দাস ও অভীক দে-র মধ্যেও। কী কথা? কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, অভীক এসএসকেএমের জুনিয়র চিকিৎসক, আর ড. এসপি দাস উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক। তাহলে আরজি করের কোনও ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁরা তো ‘বহিরাগত’। সে প্রশ্ন করতে অভীক বললেন, “ড. শ্যামাপ্রসাদ দাস আমি যতদূর জানি, তিনি সরকারি চিকিৎসক নন, আরজি করের সঙ্গেও যুক্ত নন। আমিও নই। কিন্তু এই প্রশ্নগুলো কেন কারা করছেন, জানি না।” তাঁর যুক্তি, “এটা সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন বিষয়, এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করাই উচিত নয়।”