কলকাতা: ধর্ষণ করেই খুন করা হয়েছে আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসককে, আরজি কর-কাণ্ডে উঠেছে এমনই দাবি। কিন্তু ময়নাতদন্তের কমিটি নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন চিকিৎসকদের একাংশ। সূত্রের খবর. এনআরএস-এর মলি বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক চিকিৎসককে কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, চিকিৎসক হিসাবে মলি অনেকটাই জুনিয়র। প্রশ্ন উঠছে, সিনিয়রদের টপকে কীভাবে মলিকে দায়িত্ব দেওয়া হল? কমিটিতে এমন ২ জন রয়েছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই পুলিশে অভিযোগ রয়েছে। টালা থানায় অভিযোগ রয়েছে ২ জনের বিরুদ্ধে। সূত্র বলছে, কমিটিতে আরও দু’জন সদস্য রয়েছেন, যাঁরা ইন্টার্ন। রেজিস্টার্ড নন যাঁরা, তাঁরা তদন্ত করবেন কীভাবে?
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার নাইট ডিউটি ছিল ওই চিকিৎসকের। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার সময়ে হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে ওই মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে প্রথম থেকেই। খানিকটা সে ইঙ্গিত দেয় হোমিসাইড শাখাও। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাত ৩টে থেকে ভোর ৬টার মধ্যে। ছাত্রীর গলার ডান দিকের একটা হাড় ভাঙা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সাধারণত গলায় হাত দিয়ে টিপে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করা হলে এরকমভাবে হাড় ভাঙার ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রে সেধরনের কিছু হয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে, চোখ থেকে বেরিয়ে এসেছে রক্ত।
কিন্তু ময়নাতদন্তের পর যখন দেহ বার করে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ, তখন রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। বিক্ষোভ শুরু হয়। বামেরাও বিক্ষোভকারী ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ান। ময়নাতদন্ত নিয়েই প্রশ্ন তোলেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যে মেয়েটির ডেডবডি যে হাসপাতালে পাওয়া গেল, সেই মেয়েটির ময়নাতদন্ত সেই কর্তৃপক্ষ কীভাবে করে? খুন হবে আমারই আয়ত্তে, আর আমিই ঠিক করে দেব ময়নাতদন্তের রিপোর্ট?”
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)