কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে নয়া মোড়। এবার হাসপাতালের চার ডাক্তারকে নোটিস পাঠাল লালবাজার। তিলোত্তমা খুনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার ডাক্তারকে নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, ঘটনার রাতে ওই চার ডাক্তার তিলোত্তমার সঙ্গে ডিনার করেছিলেন। তারপর তিলোত্তমা সেমিনার রুমে ঘুমোতে গিয়েছিলেন। ঘটনার রাতে তিলোত্তমা একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করেছিলেন। তাঁরা এক সঙ্গে পাঁচ জন রাতের খাবার খেয়েছিলেন। তিলোত্তমা বাদে বাকি যে চার ডাক্তার ছিলেন সেই রাতে, তাঁদের নোটিস পাঠানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, যে চার জনকে ডেকে পাঠানো হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন হাউজস্টাফ আর বাকি তিন জন চিকিৎসক। তাঁদের আজকেই লালবাজারে আসতে বলা হয়েছে। সেদিন রাতে তিলোত্তমার সঙ্গে তাঁদের ঠিক কী কথা হয়েছিল, কোনও রকমে অস্বাভাবিকত্ব সেদিন রাতে তাঁরা দেখেছিলেন কিনা, তা জানতে চাইবেন তদন্তকারীরা।
ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রকে গ্রেফতার করেছে। তাঁকে জেরা করে পুলিশের হাতে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। কিন্তু দাবি উঠতে শুরু করেছে, আরজি কর হাসপাতালে তিলোত্তমাকে ‘ধর্ষণ’ ও খুনে এক জন নয়, একাধিক জন জড়িত। এই দাবি নিরিখে প্রকাশ্যে আসে একটি ভাইরাল অডিয়ো।
ওই ভাইরাল ওই অডিয়ো চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন আরজি কর হাসপাতালেরই এক ইন্টার্ন। তাঁর সঙ্গে অন্য এক মেডিক্যাল কলেজের পিজিটি ডাক্তারের ফোনালাপ ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল অডিয়োতে ইন্টার্ন দাবি করেছিলেন, “একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। যেটা নিয়ে আমরা সরব হই। কর্তৃপক্ষ চেয়েছিল, আমরা ওটা ভুলে যাই। কিন্তু, ওরা তো জানে না, সেইটুকু আইকিউ রয়েছে, যে ওটা ওর পক্ষে করা সম্ভব কি না। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যেরকম ইনজুরি রয়েছে দিদির(তিলোত্তমা), তাতে তো একজনের কাজ নয়, কমপক্ষে ২ বা তিনজন রয়েছে। দাদা, আমরা সন্দেহ করছি এটা ইন্টার্নের কাজ। যে ইন্টার্নের যথেষ্ট রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও যথেষ্ট উচ্চপদস্থ। নাম নিতে পারব না।”
সংবাদমাধ্যমে এই অডিয়ো সম্প্রচারিত হয়। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। প্রসঙ্গত, রবিবার সন্ধ্যায় আরজি করে আবারও যান পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। সিপি বলেন, “পড়ুয়াদের কাছে অনুরোধ, আপনাদের কাছে কোনও খবর থাকলে, কেউ জড়িত আছে মনে করলে আমাদের জানান। আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখব। কিচ্ছু লোকানোর নেই।”