কলকাতা: আরজি করের দুর্নীতি ‘বিগ স্ক্যাম’। মন্তব্য আলিপুর আদালতের বিচারক সুজিত কুমার ঝা-এর। আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর আদেশনামায় এই মন্তব্য করেন।
বিচারক নির্দেশনামায় লিখেছেন, “কেস ডায়েরি যত্ন সহকারে খুঁটিয়ে পড়ার পর বোঝা যাচ্ছে এই কেস একটি বড় স্ক্যাম। এজেন্সিকে এই দুর্নীতির মানি ট্রেল ও কীভাবে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তা খুঁজে বের করতে হবে।’
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া সন্দীপ ঘোষ-সহ তিন জনকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক সুজিত কুমার ঝা-এর এজলাসে মামলাটি ওঠে। তবে সন্দীপের আইনজীবী জামিনের আর্জি জানাননি।
সিবিআই-এর তরফে দশ দিনের হেফাজত চাওয়া হয়। মুখোমুখি জেরা করতে চান তদন্তকারীরা। সিবিআই-এর বক্তব্য ছিল, “এই কেস প্রমাণের জন্য হেফাজতে দরকার। তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের জন্য পিসি প্রয়োজন। চারজন রয়েছেন হেফাজতে। অপরাধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। জেরা করলে আরও অপরাধ সামনে আসবে। ডিজিটাল অ্যাভিডেন্স আসবে সামনে। সব অভিযোগ খুবই গুরুতর।”
সিবিআই-এর তরফে সওয়াল করা হয়, এর পিছনে ষড়যন্ত্র আছে। সাতটি ভুয়ো সংস্থা তৈরি করে সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরই নির্দেশনামায় বিচারক উল্লেখ করেন, এই দুর্নীতি বিশাল ‘বিগ স্ক্যাম’।
এক বছর আগে আর জি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার নন মেডিক্যাল আখতার আলি আঙুল তুলেছিলেন সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। হাসপাতালের মর্গ থেকে শুরু করে বর্জ্য পাচার-সবতেই দুর্নীতির একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে সন্দীপের বিরুদ্ধে। স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন প্রশাসনিক শাখার অভিযোগ করেছিলেন আখতার আলি। আরজি করে ধর্ষণ করে খুনের মামলার তদন্তে সেই বিষয়গুলো নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ইতিমধ্যেই আর্থিক দুর্নীতি ইস্যুতে নথি তলব করে স্বাস্থ্যভবন। কিন্তু আরজি করের তরফে কেবলমাত্র ৯টি নথিই দেওয়া হয়েছে। সেখানেও নথি গায়েবের অভিযোগ উঠেছে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)