কলকাতা: আজ ষষ্ঠ বার। এখনও পর্যন্ত সন্দীপ ঘোষকে দফায় দফায় ৫০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই তদন্তকারীরা। আরজি কর মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। মঙ্গলবার এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে কড়া চাপের মুখে পড়ে রাজ্য। বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই মামলার তদন্তের গতি রিপোর্ট আকারে সিবিআই-কে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সিবিআই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বয়ানে একাধিক ক্ষেত্রে অসঙ্গতি রয়েছে। এখনও অনেক ক্ষেত্রে মিসিং লিঙ্ক রয়েছে সন্দীপের বয়ানে।
তবে জানা যাচ্ছে, সিবিআই-এর কাছে সন্দীপ ঘোষ দাবি করেছেন, তিনি কোনও অন্যায় করেন। এই ঘটনার প্রকাশ্যে আসার আগে থেকেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। তিলোত্তমা-র পর্ব সামনে আসতে পুরনো বিষয়গুলো আরও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। জিজ্ঞাসাবাদে সে প্রসঙ্গ উঠতে সন্দীপ ঘোষ দাবি করেছেন, তিনি কোনও অনিয়ম করেননি।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষ দাবি করেছেন, “খারাপ খবরটা পাওয়ার পর নিয়ম মেনে যা যা করার সব করেছি। কোনও প্রমান লোপাট হয়নি।” ঘটনার পর পরিবারের তরফ থেকেও দাবি করা হচ্ছে, হাসপাতালের তরফ থেকে ফোন করে প্রথমে বলা হয়েছিল, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করে। যদিও সন্দীপ ঘোষ দাবি করেছেন, তিলোত্তমার বাড়িতে হাসপাতালে তরফে করা ২টি ফোন কলের বিষয়ে তিনি জানেন না। তিনি কাউকে ফোন করতে বলেননি বলে দাবি করেছেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা প্লেস অফ অকারেন্সে থ্রি ডি স্ক্যানিং করা হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে কোনও রকমের সূত্র খুঁজে পাননি তদন্তকারীরা।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)