AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

BDO: ভূরি ভূরি অভিযোগ, ক্ষুব্ধ আদালতও, রাজনীতির দাবার ঘুঁটি হয়ে গেলেন বিডিওরা?

BDO: ভোটের বাংলায় মনোনয়নে নথি বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে। হাইকোর্টের নির্দেশে উলুবেড়িয়ার বিডিওর বিরুদ্ধে একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে। যদিও ডিভিশন বেঞ্চে তা খারিজ হয়ে যায়।

BDO: ভূরি ভূরি অভিযোগ, ক্ষুব্ধ আদালতও,  রাজনীতির দাবার ঘুঁটি হয়ে গেলেন বিডিওরা?
বিডিওদের একাংশকে ছুটতে হচ্ছে কোর্টেও। Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 20, 2023 | 6:57 PM
Share

কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোট মিটেছে। তাতে কি? এখনও ফুটছে রাজ্য-রাজনীতি। উত্তেজনা কমার নাম গন্ধ নেই। ভোটে ছাপ্পা, কারচুপির অভিযোগে বিরোধীদের নিশানায় শাসকদল। কিন্তু এ বারের পঞ্চায়েত ভোট নতুন নমুনা নিয়ে হাজির। বিরোধীদের কাঠগড়ায় বিডিও। অভিযোগ তো নেহাত কম নয়। প্রায় রোজই আদালতে তলব বিডিওদের। অতীতে এমন কোনও ভোটের কথা মনে পড়ছে না, যেখানে আমলাদের ভূমিকা নিয়ে এতো প্রশ্ন উঠেছে। বাংলার ভোট রাজনীতিতে কি দাবার ঘুঁটি হয়ে গেলেন ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার বা বিডিওরা?

ভোটের বাংলায় মনোনয়নে নথি বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে। হাইকোর্টের নির্দেশে উলুবেড়িয়ার বিডিওর বিরুদ্ধে একক বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে। যদিও ডিভিশন বেঞ্চে তা খারিজ হয়ে যায়। অন্যদিকে রাস্তায় রাশি রাশি ব্যালট পড়ে থাকার ঘটনায় হাইকোর্টে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে হুগলির জাঙ্গিপাড়ার বিডিওকে। আবার বুথে ভোট লুঠের অভিযোগের পর ধূপগুড়ির বিডিওকেও ডেকেছে কোর্ট।

তালিকায় আরও আছে নাম। ভুল ব্যালটেই ভোট গ্রহণের অভিযোগে আরামবাগের বিডিওকে তলব করেছে হাইকোর্ট। ভোটে কারচুপির অভিযোগে হাবড়া ২ -এর বিডিওর কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। জ্যাংড়া হাতিয়াড়া দু’ পঞ্চায়েতে ভোট বয়কটের বুথেই ৯৪ % ভোট পড়ায় এখানকার বিডিওকেও রিপোর্ট দিতে বলেছে আদালত।

প্রার্থীকে অন্ধকারে রেখে সই জাল করে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় রানিগঞ্জের বিডিও। সৌদি আরব থেকে মনোনয়ন জমা, মিনাখাঁর বিডিও-র বিরুদ্ধেও তদন্ত। ভোটপর্বে কাঠগড়ায় বিডিওরা। সূত্রের খবর, সরকারি আমলা মহলে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে। কিন্তু নানা কারণে তাঁরা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না। তবে মুখ খুলছেন প্রাক্তনীরা।

অবসরপ্রাপ্ত ডব্লুবিসিএস পরিতোষ চক্রবর্তী বলেন, “বিডিওদের দুঃসময় চলছে। ফ্রি ফেয়ার ভোট হয়নি। কারা করলেন? শুধু বিডিও কেন? ডিএম, এসপিদেরও দায়িত্ব নিতে হবে। বিডিওদের পাশে দাঁড়াতে হবে। বাড়তি ব্যালট ছাপা হয়েছিল এটা সত্যি।” তবে চাপের মুখে এই নতি স্বীকার কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

বিডিওদের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হয়েছে বাম-বিজেপি। ২১ জুলাই শুক্রবার তৃণমূল যখন ধর্মতলায় শহিদ তর্পণ করবে। সেইসময় জেলায় জেলায় বিডিও অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলছেন, “বিডিওরা, থানার আইসিরা যেভাবে ভোট লুঠ করেছেন মেনে নেওয়া যায় না। তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনেই এসব হয়েছে।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, “নির্বাচনের গণনাকর্মী যারা, তারা প্রশ্ন তুলতে গিয়ে আক্রান্ত পর্যন্ত হয়েছে। বিডিও অথবা কেউ পাশে দাঁড়াননি। নির্বাচন কর্মীদের পাশে নির্বাচন কমিশন দাঁড়ায়নি।”

যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এসব রাজনৈতিক কারণে অভিযোগ। ভোটে হেরে গেলে মুখ বাঁচাতে একটা ইস্যু তো তৈরি করতে হবে।” অন্যদিকে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের দাবি, “প্রায় সাড়ে ৩০০-এর মতো বিডিও অফিস। অত ওদের কর্মী সংখ্যা বা সংগঠন শক্তপোক্ত বলে আমার মনে হয় না। পারবে না।”