কলকাতা: শহর কলকাতার অন্যতম হাই সিকিউরিটি জ়োন রাজভবন (Raj Bhavan)। বাংলার সাংবিধানিক প্রধানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চারিদিকে নিশ্ছিদ্র সুরক্ষা বলয়। ভিতরে ঢুকতে গেলে বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন। বাইরে থেকে পেল্লায় ওই ভবন দেখে, অনেকেরই হয়ত ইচ্ছা হয়েছে ভিতরটা কেমন একবার ঘুরে দেখার। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও তা পূরণ হয়নি। তবে নববর্ষের দিন বদলে যাবে সব নিয়ম-কানুন। আগামী শনিবার, নববর্ষের দিন সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকবে রাজভবন। মানুষজন এসে রাজভবন ঘুরে দেখতে পারবেন। এই বিষয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) জানিয়েছেন, ‘আমরা জনরাজভবন প্রোগ্রাম চালু করছি। এটির লক্ষ্য হল রাজভবনকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে যুক্ত করা। সেই কারণে আমরা এটি খুলে দিচ্ছি। রাজভবন হয়ে যাবে জনরাজভবন। নববর্ষের দিন থেকে এই হেরিটেজ ওয়াক চালু করছি আমরা। এনসিসি-র তরফে একটি পিস মার্চও করা হবে, যেটি হল জনরাজভবন মার্চ।’
রাজভবনের এই হেরিটেজ ওয়াক নিয়ে গুঞ্জন চলছিল অনেকদিন ধরেই। নববর্ষের দিন থেকে এই হেরিটেজ ওয়াক চালু হতে পারে, এমন একটি আভাস পাওয়া যাচ্ছিল বটে, তবে কবে থেকে চালু হবে সেই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও দিনক্ষণ জানা যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত রাজ্যপাল নিজেই এদিন জানিয়ে দিলেন, বাংলা নববর্ষের দিন সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়ে রাজভবন। রাজভবনের ভিতরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যাবে। জানা যাচ্ছে, রাজভবনের নীচের ঘর, ঝুলন্ত সেতু, সুইমিং পুল, বাগান, রাজভবনের গ্রন্থাগার ঘুরে দেখতে পারবেন সাধারণ মানুষজন। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণ মাথায় রেখে বেশ কিছু জায়গাকে এই তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু যখন কলকাতায় এসেছিলেন, তখন থেকেই এই ব্যবস্থাপনা শুরু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে রাজভবনের প্রতীকী চাবি তুলে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। রাজভবনকে ‘জনরাজভবন’ করে তোলার প্রক্রিয়া সেদিন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। এবার নববর্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার সূচনা হচ্ছে।