কলকাতা: বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার পর অন্যান্য দলের নেতা ও নেত্রীদের সোমবার সংবর্ধনা দেওয়া হল। হেস্টিংসের বিজেপি দফতরে এই সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে হাজির ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)-সহ বৈশালী ডালমিয়া ও অতিসম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দেওয়া নেতা-নেত্রীরা। বিজেপি রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁদের সংবর্ধনা জানান। শুভেন্দু অধিকারীও হাজির ছিলেন সেখানে। অনুষ্ঠান শেষে সেখান থেকে ফের একবার রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে আক্রমণে শান দেন দলত্যাগী নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
আত্মবিশ্বাসী রাজীব এ দিন বলেছেন, “তৃণমূলের কুকথা আগামিদিনে আমাদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে নেমে আসবে।” নাম না করে ছেড়ে আসা দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর কটাক্ষ, “মুখে বলে গেলাম মানুষের স্বার্থে রাজনীতি করছি। অথচ নিজের স্বার্থে রাজনীতি করে গেলাম, সেটা হতে পারে না।”
এদিনেও ফের একবার রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকারের মাহাত্ম বোঝানোর চেষ্টা করেন রাজীব। তাঁর কথায়, “কেন্দ্রকে বাদ দিয়ে রাজ্য চলে না। রাজ্যের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে আমাদের।” আক্রমণে শান দিয়ে তিনি আরও বলেন, “সংখ্যালঘু মানুষদের জন্য সত্যিকারের কিছু হয়নি। কেবল ভোটের রাজনীতি হয়েছে। কেবল সাম্প্রদায়িকতা ভয় দেখিয়ে রাখা হয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। বাংলায় প্রাদেশিকতার বীজ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।” আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির জয় হবে, এমন ‘দেওয়াল লিখন’ স্পষ্ট হয়ে যেতেই প্রাদেশিকতার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন রাজীববাবু।
আরও পড়ুন: এমন ভাবে ফিরে আসব, ভাবতে পারবেন না, সব জবাব পেয়ে যাবেন: ‘আত্মপ্রত্যয়ী’ মমতা
ইদানীং নানা জায়গায় দল বদলে বিজেপিতে আসা নেতাদের কালো পতাকা দেখানো হচ্ছে। এর পিছনে তৃণমূলেরই কলকাঠি রয়েছে বলে আজ অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, “এটা কি আদৌ বাংলার সংস্কৃতি?”
রাজীব সোমবার বলেছেন, “বাংলার মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে সেই কারণে বাংলার মাটিতে বিজেপিকে দরকার। তৃণমূল যে কাজ করেছে তাতে বাংলার মানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ নেই তাই তাঁরা কালো পতাকা দেখাচ্ছে। বিগত দিনে প্রতিশ্রুতি দিয়ে কী হয়েছে সেটা আপনারা জানেন, আবার নতুন করে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি।”
আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় এলে মাননীয়াকে মিথ্যাশ্রী পুরস্কার দেব: শুভেন্দু