Madan Mitra Interview: বগটুইকান্ডে কেষ্টকে মদনের পরামর্শ, ‘ডাক্তার…’

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৌরভ পাল

Mar 23, 2022 | 8:20 PM

স্বরযন্ত্রের অপারেশন করিয়ে যব বন্ধ। কথা বলবেন না। বোর্ডে মার্কার দিয়ে লিখে লিখে দিলেন গোটা সাক্ষাৎকার। লিখছেন, মুছে দিচ্ছেন আবার লিখছেন। ছোট্ট সাক্ষাৎকারে একের পর এক বিস্ফোরণ। রামপুরহাট থেকে অনুব্রত, কামারহাটি থেকে শুভেন্দু — বাংলা মিডিয়ায় প্রথমবার, মদন মিত্রের নির্বাক সাক্ষাৎকার

Follow Us

কলকাতা: সুচপুর, নানুরের পর বীরভূমের রাজনৈতিক হিংসার মানচিত্রে এবার নবতম সংযোজন বগটুই। আবারও একটা গণহত্যার সাক্ষী ‘কেষ্টগড়’। অরাজকতার বিরল থেকে বিরলতম ছবি দেখল বীরভূম। সৌজন্যে ‘বগটুই’।

এক খুনের বদলায় একসঙ্গে ৮খুন! ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু তাই নয়, নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন তিনি। কোনও রকম গড়িমসি না করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিভ টিম, সিট গঠন করেছে রাজ্য।

ঠিক কী ঘটেছিল বগটুইয়ে?

সোমবারের রাত, তখন ঘড়ির কাটায় ঠিক সাড়ে ৮টা। বগটুই মোড়ে হঠাৎ বোমা হামলায় খুন তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। ঘণ্টাখানেক ও হয়নি, হাইওয়ে লাগোয়া ছোট্ট গ্রাম তখন কার্যত শ্মশান। একের পর এক বাড়ি তখন সর্বগ্রাসী উনুন। দাউ দাউ জ্বলছে। বহ্নিশিখার ছবি দেখে বগটুই তখন ভীত, ত্রস্ত। প্রাণ হাতে করে পালিয়ে বাঁচতে শুরু হয়েছে ছোটাছুটিও। গভীর রাতে কি আর কেউ ফিরেছিলেন   — কারও জানা নেই।

কাট টু মঙ্গলবার সকাল। পোড়া গন্ধ। ছাইয়ের গাদা। পুড়ে কাঠ হয়ে যাওয়া কিছু জীবনের ছবি নিয়ে সংবাদ শিরোনামে রামপুরাহাট। আরও নির্দিষ্ট করে বগটুই। ফোনে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ তো অনেক দূর, অনুব্রত মণ্ডলের শর্ট সার্কিটের তত্ত্বে তখন রীতিমতো হৈ চৈ কান্ড। একের পর এক প্রতিক্রিয়া আসছে। ‘চক্রান্তের তত্ত্ব’ খাড়া করছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা দল থেকে বীরভূমের দায়িত্বে থাকা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। মুখপাত্র কুণাল ঘোষও ততক্ষণে বয়ান বদলে দলের লাইনে হাঁটতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে উত্তাল হয়েছে বিধানসভাও। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করে রাষ্ট্রপতি শাসন চেয়ে ফেলেছেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের মতো বিজেপি নেতৃত্ব। এতো ঘটনাবহুল দিনে কোথায় মদন মিত্র? থ্রোট টিউমারের অপরাশেন করিয়ে ১০ দিনের অন্তরালে কথাকৌশলী।‘কথা বলবেন না’ — চিকিৎসকের বারন রয়েছে। শেষ পর্যন্ত ম্যাঙ্গোলনে পরিবহন দফতরের ৩ তলার ঘরে বসে  দিলেন নির্বাক সাক্ষাৎকার। হাতে মার্কার, সাদা বোর্ডে লিখছেন, মুছে ফেলছেন আবার লিখছেন।  রামপুরহাট প্রসঙ্গে উর্দ্ধ কমার মধ্যে লিখলেন, ‘ইউক্রেন থেকে রামপুরহাট, যে কোনও মৃত্যুই দুঃখের।’

অনুব্রত মণ্ডলকে কী পরামর্শ, মদন মিত্রের উত্তর, “ডাক্তার আমায় টেনশন নিতে বারণ করেছে।” সন্তর্পনেই কি এড়িয়ে গেলেন, নাকি ইঙ্গিতবহ বাক্যবন্ধে বুঝিয়ে দিলেন, জল অনেক দূর গড়াবে…।

 

দেখুন মদন মিত্রের নির্বাক সাক্ষাৎকার

 

কলকাতা: সুচপুর, নানুরের পর বীরভূমের রাজনৈতিক হিংসার মানচিত্রে এবার নবতম সংযোজন বগটুই। আবারও একটা গণহত্যার সাক্ষী ‘কেষ্টগড়’। অরাজকতার বিরল থেকে বিরলতম ছবি দেখল বীরভূম। সৌজন্যে ‘বগটুই’।

এক খুনের বদলায় একসঙ্গে ৮খুন! ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু তাই নয়, নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন তিনি। কোনও রকম গড়িমসি না করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিভ টিম, সিট গঠন করেছে রাজ্য।

ঠিক কী ঘটেছিল বগটুইয়ে?

সোমবারের রাত, তখন ঘড়ির কাটায় ঠিক সাড়ে ৮টা। বগটুই মোড়ে হঠাৎ বোমা হামলায় খুন তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। ঘণ্টাখানেক ও হয়নি, হাইওয়ে লাগোয়া ছোট্ট গ্রাম তখন কার্যত শ্মশান। একের পর এক বাড়ি তখন সর্বগ্রাসী উনুন। দাউ দাউ জ্বলছে। বহ্নিশিখার ছবি দেখে বগটুই তখন ভীত, ত্রস্ত। প্রাণ হাতে করে পালিয়ে বাঁচতে শুরু হয়েছে ছোটাছুটিও। গভীর রাতে কি আর কেউ ফিরেছিলেন   — কারও জানা নেই।

কাট টু মঙ্গলবার সকাল। পোড়া গন্ধ। ছাইয়ের গাদা। পুড়ে কাঠ হয়ে যাওয়া কিছু জীবনের ছবি নিয়ে সংবাদ শিরোনামে রামপুরাহাট। আরও নির্দিষ্ট করে বগটুই। ফোনে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ তো অনেক দূর, অনুব্রত মণ্ডলের শর্ট সার্কিটের তত্ত্বে তখন রীতিমতো হৈ চৈ কান্ড। একের পর এক প্রতিক্রিয়া আসছে। ‘চক্রান্তের তত্ত্ব’ খাড়া করছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা দল থেকে বীরভূমের দায়িত্বে থাকা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। মুখপাত্র কুণাল ঘোষও ততক্ষণে বয়ান বদলে দলের লাইনে হাঁটতে শুরু করেছেন। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে উত্তাল হয়েছে বিধানসভাও। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করে রাষ্ট্রপতি শাসন চেয়ে ফেলেছেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারের মতো বিজেপি নেতৃত্ব। এতো ঘটনাবহুল দিনে কোথায় মদন মিত্র? থ্রোট টিউমারের অপরাশেন করিয়ে ১০ দিনের অন্তরালে কথাকৌশলী।‘কথা বলবেন না’ — চিকিৎসকের বারন রয়েছে। শেষ পর্যন্ত ম্যাঙ্গোলনে পরিবহন দফতরের ৩ তলার ঘরে বসে  দিলেন নির্বাক সাক্ষাৎকার। হাতে মার্কার, সাদা বোর্ডে লিখছেন, মুছে ফেলছেন আবার লিখছেন।  রামপুরহাট প্রসঙ্গে উর্দ্ধ কমার মধ্যে লিখলেন, ‘ইউক্রেন থেকে রামপুরহাট, যে কোনও মৃত্যুই দুঃখের।’

অনুব্রত মণ্ডলকে কী পরামর্শ, মদন মিত্রের উত্তর, “ডাক্তার আমায় টেনশন নিতে বারণ করেছে।” সন্তর্পনেই কি এড়িয়ে গেলেন, নাকি ইঙ্গিতবহ বাক্যবন্ধে বুঝিয়ে দিলেন, জল অনেক দূর গড়াবে…।

 

দেখুন মদন মিত্রের নির্বাক সাক্ষাৎকার

 

Next Video