কলকাতা: দেরিতে অভিযোগ মানেই সেই অভিযোগ মিথ্যে হতে পারে না। নিম্ন আদালতে খারিজ হয়ে যাওয়া মামলায় সাতদিনের মধ্যে রায় দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কেন মহিলা দেরিতে অভিযোগ জানিয়েছেন, এই মর্মেই মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছিল আলিপুর আদালতে (Alipur Court)। কিন্তু, শনিবার সেই মামলায় বিচারপতি বিবেক চৌধুরী নির্দেশ দেন, অবিলম্বে সেই মামলা শুনতে হবে ও সাত দিনের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে রায় দিতে হবে।
এক রাজনৈতিক দলের নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিলেন দলেরই নেত্রী। কিন্তু ঘটনার ২ বছর পর থানায় অভিযোগ জানান তিনি। সেই মামলাই উঠেছিল আলিপুর আদালতে। আলিপুর আদালতে সেই মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়। কেন ওই মহিলা দেরিতে অভিযোগ জানিয়েছেন, এই মর্মেই মামলাটি খারিজ করে দেন বিচারক। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আভিযোগকারিণী। বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাশে চলে সেই মামলার শুনানি।
এ দিন এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘দেরিতে আসা মানেই যৌন হেনস্থা বা ধর্ষণের মতো ঘটনার পর অভিযোগকারীকে বিচার থেকে বঞ্চিত করা নয়। এ ক্ষেত্রে মহিলাকে অনেক সাহস সঞ্চয় করতে হয় অভিযোগ জানানোর জন্য। সব চেয়ে বড় কথা নির্যাতিতাকে আইনি লড়াই করতে হয় অভিযুক্তের অনেক টাকা বা ক্ষমতার সঙ্গে। তাই দেরিতে আসা মানেই তাকে আইনি লড়াই থেকে বঞ্চনা নয়।’
আরও পড়ুন: Kolkata Metro: দেওয়া হবে না টোকেন, তবে ‘পুজো স্পেশাল’ যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা মেট্রোয়
আদালতের নির্দেশে বলা হয়, নিম্ন আদালতে এই মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়। শুধুমাত্র দেরিতে অভিযোগ জানানো হয়েছে, এই কারণ দেখিয়েই মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়। তাই সেই মামলা অবিলম্বে বিচারের নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি।
আরও পড়ুন: Food Adulteration: পোড়া মোবিল মাখিয়ে চকচকে করা কালো জিরে, বস্তা বস্তা ঢুকছে কলকাতায়
কিছুদিন আগেই হয়েছে, ছত্তীশগঢ় হাইকোর্ট রায় দিয়েছে বিবাহিত দম্পতির মধ্যে জোর করে মিলনও ধর্ষণ নয়। যদিও ৩৭৭ ধারা বা অপ্রাকৃতিক যৌনসঙ্গম বহাল রাখে আদালত। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী স্ত্রী’র বয়স যদি ১৫-র বেশি হয় তাহলে যৌনসঙ্গম বৈবাহিক ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে না। বিবাহের পর স্ত্রী’র ইচ্ছার বিরুদ্ধে সঙ্গমও ধর্ষণের অপরাধ নয়। এই মামলায় স্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, বিয়ের পর থেকে পণের জন্য তাঁর ওপর নির্যাতন করত স্বামী। অপ্রাকৃতিক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনেও বাধ্য করত তাঁকে। তাঁর গোপনাঙ্গে মূলো ও আঙুল ঢুকিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। শুনানিতে বিচারপতি এনকে চন্দ্রবংশী বলেন,’এই মামলায় অভিযোগকারী অভিযুক্তের বৈধ স্ত্রী। সুতরাং জোর করে বা স্ত্রী’র অনিচ্ছা সত্ত্বেও সঙ্গম ভারতীয় আইনের চোখে ধর্ষণ নয়।’