কলকাতা: রেশন দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর এসবের মধ্যেই টিভি নাইন বাংলার ক্যামেরায় উঠে এসেছে নিম্নমানের চাল সরবরাহের অভিযোগ। সরকারি গোডাউন থেকে হোলসেল পয়েন্টে নিম্নমানের চাল সরবরাহ হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই খবর টিভি নাইন বাংলায় প্রকাশিত হতেই অবশেষে নড়েচড়ে বসল খাদ্য দফতর। রেশন দোকানে কোথাও খারাপ চাল গিয়েছে কি না, তা দমদম-বিধাননগর এলাকার ডিলারদের কাছে জানতে চাইল খাদ্য দফতর। সেই নির্দেশ মতো বস্তা যাচাই করতে শুরু করে দিয়েছেন রেশন ডিলাররা।
শুক্রবার নিম্নমানের চাল সরবরাহের অভিযোগ উঠে এসেছে। তারপর শনিবারই দেখা গেল এক রেশন ডিলার চালের বস্তা ফুটো করে ভিতরে কেমন চাল আছে, তা যাচাই করে নিচ্ছেন। দেখে নিচ্ছেন, বস্তার গায়ে প্রিন্ট করা এক্সপাইরি ডেটও। প্রশ্ন করায় বললেন, “আমাদের বলা হয়েছে প্রতিটি বস্তা চেক করে নিতে। কবেকার চাল পাঠিয়েছে, এক্সপাইরি ডেট কী আছে, তা দেখে নিতে বলেছে। আজই এই নির্দেশ এসেছে। অফিসাররা ইনস্পেকশন করতে বেরিয়েছেন। সব ডিলারদের কাছে যাচ্ছেন, কোথায় কী অভিযোগ আছে, তা জানতে।”
উল্লেখ্য, নিম্নমানের চাল সরবরাহের অভিযোগ প্রসঙ্গে গতকালই বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু। দমদম-বিধাননগর এলাকায় মোট ৬টি হোলসেল পয়েন্ট রয়েছে। তার মধ্যে চারটি হোলসেল পয়েন্টেই নিম্নমানের চাল দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। বিশ্বম্ভর বসুর কথায়, চারটি হোলসেল পয়েন্টেই ভাঙা চাল, ধুলো ভরা চাল নিয়ে আসা হয়েছে এবং সেগুলি রেশন দোকানগুলিতে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।